ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতালিতে নতুন সরকারপ্রধান: উদ্বেগে বাংলাদেশিরা

ইতালিতে নতুন সরকারপ্রধান উদ্বেগে বাংলাদেশিরা

ইতালির ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন জর্জা মেলোনি। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে কট্টরপন্থী নেতা পেতে যাচ্ছে ইতালি। তবে, এ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন সেখানকার বাংলাদেশীরা।

মোলোনি দল ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’ প্রধান ইস্যু অভিবাসন, এবং অবৈধ অভিবাসন ঠেকানোর জন্য কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেলোনির জোটের অন্যান্য শরিক দলগুলোরও দাবি অভিবাসন কমানো এবং দেশটির উপর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রভাব দুর্বল করা।

যদিও মোলোনির ভাষ্য, তার দল ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’ সবার জন্য কাজ করবে এবং মানুষের ভরসার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।

কিন্তু ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইতালির সম্ভাব্য সে পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে গোটা ইউরোপে।

প্রতিবছর ভূমধ্যসাগর হয়ে এবং স্থলপথেও প্রচুর মানুষ ইতালিতে যান। তাদের মধ্যে প্রচুর বাংলাদেশিও রয়েছেন।

তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ইতালিতে বৈধভাবে কাজ করছেন এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি। কাজ ও বৈধ কাগজ নেই কিংবা হওয়ার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এমন বাংলাদেশির সংখ্যাও ৫০ হাজারের বেশি।

বিবিসি রোম এবং ভেনিসে কাজ করছেন এমন বাংলাদেশিদের সাথে ইতালির এই রাজনৈতিক পটপরিবর্তন নিয়ে কথা বলার সময় তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ লক্ষ্য করেছে বলে রিপোর্টে জানা গেছে।

অনেকেরই আশঙ্কা নতুন সরকার অভিবাসন নীতি কঠোর করলে তাদের বৈধতা পেতে সমস্যা হবে। এছাড়া মুসলিমবিরোধী মনোভাবের বা ইসলামোফভিয়ার শিকার হতে পারেন এমন আশঙ্কাও অনেকের মধ্যে রয়েছে।

ইতালির বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী বাচ্চু অবশ্য মনে করেন, অভিবাসীদের প্রতি যত কঠোরই হোক, তাদের সরাসরি দেশে ফেরত পাঠাবে না এই সরকার; কিন্তু নানা নিয়মকানুন করে হয়ত তাদের চাপে রাখা হবে। তিনি বলেন ‘আমাদের কায়িক শ্রমকে অল্প পয়সায় নেওয়ার জন্য আমাদের মানসিক চাপে রাখা হবে। হয়ত দেখা যাবে ডকুমেন্ট রিনিউ হচ্ছে না, এরকম নানা কিছু।’

নতুন অভিবাসীদের ইতালিতে নিরুৎসাহিত করা হবে এবং সমুদ্রপথে ইতালিতে আসা অভিবাসীদের প্রবেশ মুখগুলোতে যেহেতু কড়াকড়ি হবে, তাই প্রবেশ মুখগুলোতে বর্তমানে রেডক্রসের মত যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করে, তাদের কর্মকাণ্ডে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।

কট্টর ডানপন্থী সরকারের অভিবাসন নীতিমালার পাশাপাশি মুসলমান বিরোধী মনোভাব রয়েছে বলে অনেকে জানান। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় মেলোনি ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইতালিতে মুসলিম অভিবাসীদের আগমনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন