ঢাকা | শনিবার
২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসএসসি-এইচএসসি সব বিষয়ে

এসএসসি-এইচএসসি সব বিষয়ে

তিন ঘণ্টায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষা

আগামী বছর (২০২৩ সাল) থেকে সব বিষয়ে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে। তবে সব বিষয়ে পরীক্ষা হলেও পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পরীক্ষা হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ২০২৩ সালে এসএসসি পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষার পূর্ণ নম্বর হবে ৫০। তবে অন্য প্রতিটি বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর এইচএসসি পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ে তিন ঘণ্টা সময়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হতো বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হতো এপ্রিল মাসের শুরুতে। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলোভাবে চলছে। এছাড়া দুই বছর ধরে কখনো পরীক্ষা ছাড়াই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আবার কখনো পরীক্ষা হলেও সব বিষয়ে হয়নি। এ অবস্থায় আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে এক মাস পেছাতে পারে। অর্থাৎ এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শুরু না হয়ে এক মাস পেছাতে পারে।

এদিকে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর শুরু হবে। সোমবার এ পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সাধারণত বছরের এপ্রিল মাসে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে আড়াই বছর ধরে শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলোভাবে চলছে। এর মধ্যে এ বছর সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যার কারণে এসএসসি ও এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা আরও পিছিয়েছে। এর মধ্যেই ১৫ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এরপর নভেম্বরে শুরু হবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ৬ নভেম্বর শুরু হয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। এরপর হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

সময়সূচিতে ১১ দফা বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এসবের মধ্যে রয়েছে এসএসসির মতো এইচএসসি পরীক্ষাও শুরু হবে বেলা ১১টায়। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) এবং পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন