ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভুটানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা যাবে

ভুটানে শিল্পপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা যাবে

পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থার মাধ্যমে ভুটানে বাজারে ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা সম্ভব। আন্ত:দেশীয় ব্যবসা সম্প্রসারণ ও বাধা দূরীকরণে দুই দেশের সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে সফল হচ্ছে। আগামীতে তাই ভুটানের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল ভোক্তা তৈরি হবে বলে প্রত্যাশা করেন ফায়ার ফাইটিং ইকুইপমেন্টস বিজনেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ইসাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, স্ট্যান্ডিং কমিটি সেফটি এন্ড সিকিউরিটি ডিজএস্টার এন্ড ইক্সপ্লোশনের চেয়ারম্যান এবং মরগান গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিয়াজ আলী চিশতী।

তিনি দৈনিক আনন্দবাজারের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, ভুটানে আমাদের বাজার সৃষ্টি করা সম্ভব যেটি ভারতের ক্ষেত্রে কঠিন। কেননা ভুটানে বড় ধরনের কোন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নেই। তাদের বাজারটি ধরতে হলে ট্রানজিট সুবিধা প্রয়োজন। সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি আসামের রাজধানী গোহাটিতে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও থাইল্যান্ডসহ চারটি দেশের সমন্বয়ে একটি সম্মেলন ছিল সেখানে ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আগ্রহী। আমাদের যে প্রধান বাধা ছিল তা হচ্ছে তৃতীয় দেশ তথা ভারত হয়ে ভুটানে প্রবেশ করতে হবে। সেটি ত্রি-দেশীয় টানজিটের কারণে সহজ হয়ে গেছে। এখন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, সম্মেলনে ভুটানের পণ্যগুলো আমরা দেখেছি তারা পুতুল, চুড়িসহ সুপিস জাতিয় পণ্যই বেশি তৈরি করে থাকে। আমাদের দেশে তৈরি অনেক পণ্য সেখানে রপ্তানি করা যায়। একটি উদীয়মান বাজার নিজেদের আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব যদি সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করা যায়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের লোকদেরকে ভুটান ভালোভাবে মূল্যায়ন করে থাকে। এটি বড় পাওয়া। কেননা বাজার সৃষ্টি করতে হলে প্রথমে প্রয়োজন আস্থা ও বিশ্বাস। ভুটানে সেটি আমাদের কয়েকধাপ এগিয়ে রেখেছে।

নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, আগে বাজার সৃষ্টি করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে ভুটানে হয়তো শিল্পপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তোলা যাবে। তাতে করে উভয় দেশেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তা ছাড়া ভুটান, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও আশপাশের দেশগুলোর সঙ্গেও ব্যবসা সম্প্রসারণে ভালোভাবে কাজ করা যাবে।
তিনি অর্থনৈতিক কূটনীতি সম্পর্কে বলেন, এখন বিশ্বাস অনেক দেশই অর্থনৈতিক কূটনীতির দিকে যাচ্ছে। কেননা ব্যবসাটাও কূটনীতিরই এই অংশ। আমরা পণ্য আমদানি করতে গেলে যে মূল্যায়ন পাই রপ্তানি করতে গিয়ে তার উল্টো পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। ফলে আমাদের মিশনগুলোর অর্থনৈতিক বাজার সৃষ্টিতেও মনযোগ বাড়াতে হবে।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন