বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয়ে যাওয়া ও নতুন বাজার খোঁজতে পিটিএ মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান।
তিনি দৈনিক আনন্দবাজারের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে বলেন, বাংলাদেশ ভুটানের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ’র ফলে রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। যদিও ভুটানে লোক সংখ্যা কম। সেখানে আমাদের নতুন করে ১০০ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়াতে বাজারের পরিধিটা বৃদ্ধি পেলো। বহুকাল থেকেই ভুটানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল। এই চুক্তিটিকে আমরা মাইলফলক হিসেবে রেখে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কাজ করতে পারবো। ট্রানজিট চুক্তিও হবে। তাতে করে যাতায়াতের যে বাধাটি ছিল তা দূর হলো। এখন উভয় দেশ খুব সহজেই বাণিজ্য করতে পারবে।
ভুটানের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের রপ্তানিতে ধারাবাহিকতা কম কেন এই প্রশ্নের জবাবে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বিভিন্ন সময় একেক পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়। সে অনুপাতে রপ্তানি করা হয়ে থাকে। আর এখন তো ১০০ নতুন পণ্য যুক্ত হলো। সেক্ষেত্রে বাজারে ক্রেতাদের বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি আরো আগ্রহ সৃষ্টি হবে। কেননা তাদের ও আমাদের সংস্কৃতি প্রায় কাছাকাছি।
ভুটানকে নিয়ে নতুন করে কি পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ইপিবি এমন প্রশ্নের জবাবে এএইচএম আহসান জানান, আমরা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ভুটানের বাজারে নতুন পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। পর্যটনশিল্পে তারা অগ্রগামী সেখানে কাজ করার সুয়োগ আছে। পদ্মা সেতু তৈরির সময় তাদের কাছ থেকে মাল আনা হয়েছে। ভবিষ্যতেও যদি বড় প্রকল্প নেয়া হয় তখন খুব সহজেই তাদের থেকে পণ্য আমদানি করা যাবে। এসব পণ্যগুলোর বাজার বৃদ্ধিতে কার্যকর কি কি ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা সাজানো হবে। রপ্তানি ও আমদানির মধ্যে ভারসাম্য বা সমতা আনা যায় কিনা তা নিয়েও আমরা ভাববো।
আনন্দবাজার/কআ