দেশজুড়ে টানা তিন দিন বর্ষণের পর বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার আকাশে মিললো সূর্যের দেখা। বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবেই সারা দেশে হয় বর্ষণ। নিম্নচাপটি অবশ্য সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যদিও গত বুধবার আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছিল, বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কমে যাবে। কোথাও কোথাও দেখা যেতে পারে রোদ।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার রোদের দেখা মিলবে, শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) থেকে বৃষ্টি কমে যেতে পারে। কোথাও রোদের মুখও দেখা যেতে পারে। শুক্রবার আরও একটি লঘুচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা আছে। তবে তাতে বৃষ্টি হয়তো বেশি হবে না। রাজধানীতেও টানা বৃষ্টি হবে না। থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার তা আরও কমে যেতে পারে।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় চুয়াডাঙ্গায়, ১২১ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ৩১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল রাজারহাট ও হাতিয়ায় ২৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গড় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের গতি ঘন্টায় ১৭ কিলোমিটার। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫৫ শতাংশ। সন্ধ্যায় বাতাসের আর্দ্রতা ৮৯ শতাংশ এবং সারা রাত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের দেয়া সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপটি মধ্যপ্রদেশের মধ্যাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় রয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।