ঢাকা | রবিবার
২০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমদানির চাপে রিজার্ভ

আমদানির চাপে রিজার্ভ

কেনা থেকে ডলার বিক্রি

আমদানির চাপে দেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলার (৩৮.৯৪ বিলিয়ন)। গতকাল বুধবার এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন বা আকুর দেনা পরিশোধের পর এই পরিমাণ রিজার্ভ থাকার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে প্রতি ডলারের দাম ৯৫ টাকা বাংলাদেশি মুদ্রার হিসাবে ৫ কোটি ডলার ব্যাংকগুলোর কাছে বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গতকাল আকুর দেনা বাবদ ১৭৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়। এর আগে গত ১২ জুলাই আকুতে ১৯৬ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩৯.৭০ বিলিয়ন ডলারের নেমে আসে। তার আগে ১০ মে আকুতে ২২৪ কোটি ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এই ব্যবস্থায় সংশ্নিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে।

গত ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। করোনা মহামারির মধ্যে আমদানি দায় অনেক কমে যাওয়া এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ভালো প্রবৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে ওঠে।

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২৫৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে। গত অর্থবছরে বিক্রি করা হয় ৭৬২ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যেখানে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে কিনেছিল প্রায় ৭৯৩ কোটি ডলার। ডলার ক্রেতা থেকে এখন বিক্রির কারণে রিজার্ভ কমছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন