ঢাকা | শুক্রবার
২১শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধানের চারায় বাড়তি আয়

ধানের চারায় বাড়তি আয়

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ধানের চারার কেনা-বেচায় লাভ বেশি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। অন্যবছরের তুলনায় এবার রোপা আমন মৌসুমে চারা বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। তবে সার ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রান্তিক কৃষক এবং ডিজেলচালিত সেচ পাম্প মালিকরা উদ্বিগ্ন। সরকারের কাছে ভর্তুকি দাবি করেছেন ডিজেলচালিত সেচ পাম্প মালিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের ধানের চারায় সয়লাব হয়েছে। চাষিরা দর কষাকষি করে চারা কিনছেন। পার্শ্ববর্তী জেলা এবং উপজেলা সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, মুক্তাগাছা, ঘাটাইল ও সখীপুরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা কিনে আনেন ব্যবসায়ীরা। সেগুলো চাষিদের কাছে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করছেন। পাশের মানিকগঞ্জসহ অন্য জেলায়ও বিক্রি হয়। এখানে ব্রি-৩৪, ৪৯, ৫২, ৭১, ৭২, ৭৪, ৭৫, ৮৭; বিআর ১১, ২২,২৩; বিনাধান ৭, ১৭, ২০; স্থানীয় জাত নাজিরশাইল, পাইজাম, বিনাশাইল, স্বর্ণা, কালিজিরা, রনজিত, গাইঞ্জা, পাটজাক প্রভৃতি ধানের চারা পাওয়া যায়। ধানের চারাভেদে প্রতি আঁটি (মুঠি) চারা তিন থেকে সাত টাকায় ক্রয় করে চার থেকে ৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিক্রেতা জয়নাল বলেন, আমি অনেক দিন ধরে ধানের চারার ব্যবসা করি। পাহাড়ি উঁচু এলাকা থেকে চারা কিনে এনে এ হাটে বিক্রি করি। ১০০ আঁটি চারা বিক্রি করলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাভ থাকে।

টাঙ্গাইলের দক্ষিণাঞ্চলসহ নিচু এলাকার চাষিরা এখান থেকে বেশি চারা কেনেন। মোহর আলী বলেন, হাঁটটি পুরাতন। চারার বেচাকেনা করেই চলি।

চারা কিনে নিয়ে জয়নাল বলেন, আমার নিচু জমিতে চারা তৈরি করলে নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ হাট থেকে চারা কিনি। এবার ১৫০ আঁটি স্বর্না ধানের চারা ৯৭৫ টাকায় কিনলাম।

হাট পক্ষ থেকে চারার হাটে খাজনা আদায়কারী সাব্বির আহমেদ বলেন, এই হাটের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো। তাই দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এখানে আসেন। ১০০০ টাকায় ৪০/৫০ টাকা খাজনা নেওয়া হয়। আবার কম চারা কিনলে অনেকের কাছে থেকে টাকাই নিই না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ূন কবির বলেন, কেউ কেউ শুধু বিক্রির উদ্দেশ্য চারা উৎপাদন করেন। আবার অনেকে নিজের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত চারাগুলো এখানে বিক্রি করেন। যেসব চাষিরা চারা উৎপাদন করতে পারেন না কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে চারা নষ্ট হয়ে যায়, তারাই চারা ক্রয় করেন। কৃষি কর্মকর্তা আরো বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ হাটে বেচা-কেনার বিস্তৃতি বৃদ্ধিতে তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন