- প্রভাব জলবায়ুর: মাছ মরে কোটি টাকার ক্ষতি
- বেশি সমস্যায় পড়ছেন পাবদা চাষিরা: কৃষিবিভাগ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রতিকুল আবহাওয়ার কারণে মৎস্য পুকুরের পানিতে অক্সিজেন সংকটে মৎসচাষির প্রায় কোটি মাছ মরে গেছে। এ ঘটনাটি গতকাল রোববার সকালে কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং বাজারের বাগাইট্টে সংলগ্ন সাইফুল আলমের মৎস্য পুকুরে ঘটে।
উপজেলার রোয়াইলবাড়ি গ্রামের মৎস্যচাষি সাইফুল আলম চিরাং বাজারের বাগাইট্টে সংলগ্ন প্রায় ২৫ একর জায়গার একটি জলাশয় লিজ (বন্ধক) নিয়ে পাবদা, ঘোলসাসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করেণ। ইতোমধ্যে মাছগুলো বিক্রয়ের যোগ্য হয়েছিল। তবে, গত শনিবার থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা ছিল যার কারণে পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়ায় পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে থাকে যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকার মতো।
উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, গত কদিন ধরে প্রতিকূল আবহাওয়া বইছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ স্বল্পতায় পুকুরে ঠিক মতো পানি দিতে পারছেন চাষিরা। যে কারণে অক্সিজেন সংকট দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে পাবদা মাছ চাষিরা এ সমস্যায় বেশি সম্মুখীন এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মাছ চাষি সাইফুল আলম বলেন, আকাশ মেঘলা ছিল। শেষ রাতে পুকুরের মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখি। চোখের সামনেই কোটি টাকার মাছ মরে গেছে। পরে মাছগুলো কিছু অংশ তুলে বাজারে পাঠিয়েছি। বাকি মাছ মরে পুকুরে পানিতেই পচতে শুরু করেছে। এতে তাঁর কোটি টাকারও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি। তারও ধারণা অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরেছে।
এ বিষয়ে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম জানান, দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে পুকুরগুলোতে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দেয়। আবার অনেক সময় বায়ুমণ্ডলে যদি কোনো কারণে অ্যাসিটিক বাতাস প্রবাহিত হয় আর ঠিক ওই সময়ে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের অ্যাসিড মিশ্রিত হয়ে পানিতে পড়ে। আর তখন পানিতে অক্সিজেন স্বল্পতা দেখা দেয়। ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মরে ভেসে ওঠে। কেন্দুয়ায় কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্যদের তেমন কোনো ক্ষতি না হলেও সাইফুল আলমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
আনন্দবাজার/শহক