ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাটের দামে স্বস্তি

পাটের দামে স্বস্তি

সোনালি আঁশ পাটে মিশে আছে কৃষকের সোনালি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। প্রতি বছরের ন্যায় চলতি মৌসুমে নতুন পাট ঘরে তুলতে ব্যস্ততা বেড়েছে বিভিন্ন গ্রামের কৃষক-কৃষাণীদের। পাটের আঁশ ছাড়ানো ও রোদে শুকানোর কাজে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে করতে দেখা গেছে তাদের।

উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল করিম  জানান, আমাদের দেশে এখনও সনাতন পদ্ধতি অনুসরণ করে পাটের আঁশ সংগ্রহ করা হয়। পাট গাছকাটার পর তা ৮ থেকে ১০ দিন পানির মধ্যে রাখা হয়। পরবর্তীতে পাটকাঠি থেকে পাটের আঁশ আলাদা করা হয়। পাটের আঁশ ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে তা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়।

সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ডোবা ও বিলের পানিতে জাগ দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়াচ্ছে কৃষকরা। শুধু কৃষক নয় এলাকায় পাটকাঠি চাহিদা থাকায় কৃষকের সঙ্গে প্রতিবেশীরাও আঁশ ছাড়িয়ে দিয়ে পাটকাঠি সংগ্রহ করছেন। চলতি বছরে পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি। পরিবেশবান্ধব ও বহুবিদ ব্যবহারের জন্য পাটের চাহিদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী। প্রতিবছর পাট রপ্তানি করে সরকার প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।

রায়গঞ্জ উপজেলার স্থানীয় পাট ব্যবসায়ীরা মনে করছে চলতি বছর পাটের দাম আরও বাড়বে। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের পাট বহু আগে সমাদৃত হয়েছে গুণগত মানের জন্য। দেশে পাটের চাষ বৃদ্ধি পেলে সরকার আরও লাভবান হবে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন