আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গড়ে তোলা হয়েছে পলি নেট হাউস। লোহার পাইপের খুঁটির উপরে ও চারদিকে পলিথিন দিয়ে বানানো হয়েছে এ পলি নেট হাউস। এখানে রোপণ করা হয়েছে ফুলকপি আর টমেটোর চারা। সেখানে সবজি উৎপাদনে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। পলি নেট হাউস পদ্ধতিতে চারদিকে প্লাস্টিকের ছাউনি থাকায় সূর্যের তাপ সরাসরি ক্ষেতে ঢুকতে পারে না। ফলে, শীতের সব্জি গরমেও চাষ করতে অসুবিধা হয় না। এই পদ্ধতিতে পানির অপচয় ঠেকানো যায়। সার দেওয়া হয় নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে। প্লাস্টিকের চাদর থাকায় দুর্যোগের প্রকোপও অনেকটা ঠেকানো সম্ভব হয়। সব মিলিয়ে এ পদ্ধতিতে ফসলের অন্তত ২০ শতাংশ ফলন বেশি হয় বলে দাবি কৃষি বিশেষজ্ঞদের।
জানা যায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম বাকাকুড়া গ্রামে কৃষক ফজলুল হকের ১০ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এই পলি নেট হাউস। প্রথমবারের মতো গড়ে ওঠায় প্রতিদিন এই পলি নেট হাউস দেখতে আসছেন আশপাশের কৃষকরা।
কৃষক ফজলুল হক বলেন, সম্প্রতি ফুলকপি আর টমেটোর চারা রোপণ করে শুরু হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পলি নেট হাউসের কার্যক্রম। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা রোগবালাই থেকে সহজে রক্ষা পাবে এখানকার উৎপাদিত চারা। এখানে সবজির পাশাপাশি ফুল ও ফলের চারা যেকোনো সময় রোপণ করা যাবে। এখানকার উৎপাদিত সবজিগুলো হবে বিষমুক্ত। এর আগে তারা যে পদ্ধতিতে চাষ করতেন তাতে খরচ অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এ পদ্ধতিতে তাদের খরচ বেঁচে গেছে। সব মিলিয়ে নতুন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে উৎপাদন খরচ কমিয়ে দ্বিগুণ লাভ করা সম্ভব।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার বলেন, পলি নেট হাউসে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকায় চাষে নেই কীটনাশক খরচ। নেই কোনো প্রাকৃতিক ঝুঁকি। এখানে কীটনাশকসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে। কম খরচে বেশি লাভ হবে। কৃষিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।