আগামী সেপ্টেম্বর থেকে লোডশেডিং অর্ধেকে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। এজন্য লোডশেডিং সমন্বয়ে এলাকাভেদে সপ্তাহে একেক দিন একেক এলাকায় শিল্পকারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এলাকাভেদে ছুটি যেদিনই হোক, সেটি হবে সপ্তাহে একদিন।
গতকাল রোববার বিদ্যুৎ ভবনে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সভায় বসেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনগণের কথা সরকারের মাথায় আছে। কে চায় মানুষকে ভুক্তভোগী করতে? কেউ চায় না। আমরা বুঝতে পারছি।
তিনি বলেন, এ সমস্যাটা সাময়িক। বিদ্যুৎ বিভাগ মনে করছে আগামী মাস থেকে লোডশেডিং থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসবে। এখন যেমন আছি, আগের থেকে অনেক ভালো অবস্থা হবে।
কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, যেমন গাজীপুর শুক্রবার বন্ধ থাকল, বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জ বন্ধ থাকল। এভাবে যদি করা হয় তাহলে ৫০০ থেকে ৫৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের মধ্যে আনা যাবে। এটা আগেও ছিল। এতে তিনটা জিনিস লাভ হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, গ্যাস সাশ্রয় হবে এবং ট্রাফিকের ক্ষেত্রেও সাশ্রয় হবে। এটাই আলোচনা হয়েছে এবং সবাই খুশি আছে, কোনো সমস্যা নেই।
পরে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে ৪৯০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ দৈনিক সাশ্রয় হবে। আমরা বলেছি কেবল ঢাকাভিত্তিক নয়, সারা দেশেই যেন এরকম ছুটি কার্যকর করা হয়।
বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম আহসান জানান, একসময় যখন নিয়মিত লোডশেডিং হতো তখন এ ধরনের একটি ছুটির ব্যবস্থা চালু ছিল। আমরা বলেছি, প্রয়োজনে সে ধরনের সূচি আবার চালু করা হোক। ডায়িং ও স্পিনিং ফ্যাক্টরিকে কিছুটা ছাড় দেওয়া যায় কি না, সেই প্রস্তাব আমরা করেছি।
আনন্দবাজার/শহক