ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কল্যাণমুখী নেতৃত্বের বিকল্প নেই- ড. আতিউর

বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় কল্যাণমুখী নেতৃত্বের বিকল্প নেই- ড. আতিউর

প্রথমে করোনা মহামারিজনিত অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং তারপর অনাকাক্সিক্ষত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ঘনিভূত হয়েছে। ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.২ শতাংশ, আর আসছে বছর এটি আরও কমে মাত্র ২.৯ শতাংশ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই বৈশি^ক সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সমাজের সর্বস্তরে কল্যাণমুখী নেতৃত্বের কোন বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

শুক্রবার বিকেলে দিল্লীভিত্তিক সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন্ডিয়া (অ্যাসোচেম)-এর আয়োজনে কলকাতায় ‘লিডারশিপ কনক্লেভ ২০২২’-এ একটি মূল-নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন। অ্যাসোচেম ১০২ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী চেম্বার সংগঠন এবং এর বর্তমান সদস্য সংখ্যা সাড়ে চার লাখ।
ব্যবসায়িক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের মধ্যে অনেককে নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পুরস্কৃত করা হয়। রভি আগারওয়ালের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চাণক্য ফোরামের প্রধান সম্পাদক গৌরভ আর্য্য এবং আল্টিমেট ম্যানেজমেন্ট সল্যুশন (ইউএমএস)-এর ড. ভিক্রান্ত সিং তমার। ড. আতিউর রহমান লিডারশিপ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

ড. আতিউর আরও বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক এবং জাতীয় পর্যায়ের কর্মক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন প্রক্রিয়ার যথাযথ ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগগুলোকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বিশেষ লাভবান হতে পারে। বিশে^র অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এ অঞ্চলের দেশগুলো পারস্পরিক অর্থনৈতিক-বাণিজ্যিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বহুলাংশে পিছিয়ে আছে বলে জানান তিনি।

যেমন: ভারতের আমদানি বাজারের আরও এক শতাংশ যদি বাংলাদেশ থেকে যায় তাহলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানি চার গুণ বাড়তে পারে। তবে পারস্পরিক বাণিজ্যিক যোগাযোগ ও পরিবহনের ব্যয় অনেক বেশি হওয়াটা এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি প্রধানতম অন্তরায় বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে দুই দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপক আকাক্সক্ষা ও সদিচ্ছা দৃশ্যমান। এ পরিস্থিতিতে যথাযথ নেতৃত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে নেতৃত্বকে সুদক্ষ মানবসম্পদের সহায়তায় ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। নেতৃত্বকে একই সঙ্গে মানবিক এবং প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন