ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ করে লাভবান চাষীরা

টাঙ্গাইল অঞ্চলের গ্রামে গ্রামে সরিষা ক্ষেতে জমি ভরে উঠেছে। আর এই সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক-মৌচাষিরা। কারণ সরিষা ক্ষেতে মৌ চাষ করলে জমির ফলনও বাড়ে।

এতে মৌমাছির মাধ্যমে সরিষা ফুলের পরাগায়নে সহায়তা হচ্ছে। ফলে একদিকে সরিষার উৎপাদন যেমন বাড়ছে, অপরদিকে মধু আহরণ করা যাচ্ছে। ফলে সমন্বিত এই চাষে লাভবান চাষিরা।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলার এবছর ৪১ হাজার ৫০৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এসব ক্ষেতের পাশে প্রায় তিন হাজার মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এই বাক্স থেকে এবার একশ টন মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কৃষি বিভাগ।

স্থানীয় কৃষক সালাউদ্দিন মিয়া জানান, আমাদের যদি কৃষি অফিস মৌ চাষের প্রশিক্ষণ দিতো তাহলে আমরা সরিষার সঙ্গে মৌ চাষ করে অধিক লাভবান হতে পারতাম।

সাতক্ষীরা থেকে টাঙ্গাইল অঞ্চলে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহে আসা মৌ-খামারিরা সংগ্রহ করা মধু ঢাকার বিভিন্ন কোম্পানির কাছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন মধু সংগ্রাহকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল রাজ্জাক জানান, মৌমাছি সরিষার ফুলে উড়ে উড়ে বসে মধু সংগ্রহ করে। এতে সরিষা ফুলে সহজে পরাগায়ন ঘটে। তাই দেখা গেছে সরিষাক্ষেতের পাশে মৌ চাষের বাক্স স্থাপন করলে সরিষার ফলন অন্তত ২০ শতাংশ বাড়ে। সঙ্গে মৌচাষিরা মধু আহরণ করেও লাভবান হতে পারেন।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন