আমদানির বদলে রপ্তানির পাল্লাই ভারী
- প্যাকেজ পর্যটনে লাভবান হবে দু’দেশ
মাত্র ১০ বছরেই বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের ব্যবসা-বাণিজ্যের গতিপথ উল্টে গেছে। আমদানি থেকে বেরিয়ে রপ্তানিমুখি অর্থনীতিতে পরিণত হচ্ছে। ঢাকা ২০২০-২১ সালে তাশখন্দে ২৩.৮২ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এর বিপরীতে আমদানি করেছে ২১.৪০ মার্কিন ডলার। অথচ ২০১০-১১ সালে আমদানি ছিল ৬২১.৯০ ও রপ্তানি ছিল ৪.৩৬ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ১০ বছরে ৬০০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা উল্টে গেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কাজাকিস্তানের বাজার হয়ে ইউরোপের বাজারে আরো শক্তিশালী অর্থনীতি গড়তে পারবে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে দেশটিতেও বিনিয়োগের সুযোগ পাচ্ছে ঢাকা। তা ছাড়া দু’দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চালু হওয়াতে পর্যটনেও আসবে প্যাকেজ বিপ্লব।
গতকাল শুক্রবার রাজধানী ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে উজবেকিস্তানের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার জামশেদ কাদজায়েভের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে অংশ নেন কাজাকিস্তানের পরিবহন মন্ত্রী ইখম মাকামোভ, ফার্স্ট ডেপুটি মিনিস্টার অব ইনভেস্টমেন্ট এন্ড ফরেন লাজিজ কুদরাতোভ, ডেপুটি মিনিস্টার অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স ফুরকাত সিদিকোভ, ডেপুটি মিনিস্টার অব এগ্রিকালচার আলিসার সুকোরোভ প্রমুখ।
টিপু মুনশির নেতৃত্বে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ প্রমুখ।
টিপু মুনশি বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজাকিস্তানে সফর করে বন্ধুত্ব শুরু করেন। দেশটির সাথে বিমান চলাচল থাকলেও দীর্ঘ ২০ বছর যাবত তা বন্ধ আছে। আমরা এটি চালুর প্রস্তাব দিলে দেশটি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এতে করে আমাদের পর্যটনেও গতি আসবে। কেননা দেশটির সামারখন্দ ও বোখারাসহ কয়েকটি স্থান মুসলমানদের জন্য ভালো পর্যটনের জায়গা আছে। তাদের সাগর নেই। এক্ষেত্রে আমাদের কক্সবাজার তাদের জন্য প্যাকেজ পর্যটন হতে পারে।
উজবেকিস্তানের নিকট থেকে গ্যাস বা জ্বালানি আমদানির ব্যাপারে কোন আলোচনা হয়েছে কিনা দৈনিক আনন্দবাজারের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরাসরি গ্যাস বা জ্বালানি আমদানির ব্যাপারে আলোচনা হয়নি। তবে আনুষঙ্গিক বিষয়ে কথা হয়েছে। সেখানে জ্বালানির কিছুটা হিংস আছে। তবে সার আমদানির ব্যাপারে ঐক্যমত হয়েছি।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের পাট ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে তাশখন্দ ভালো একটি জায়গা। দু’দেশ বস্ত্রখাতে বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে। এছাড়াও সে দেশে শিল্প-কারখানা চালু করে কর্মসংস্থান তৈরি করাও সম্ভব।