ঢাকা | বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইলিশের দামে ‘সুখবর’

ইলিশের দামে ‘সুখবর’

তবে নিম্ন-মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে

  • কেজিতে কমেছে তিনশ টাকা

দক্ষিণের সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল ৬৫ দিন। নিধেষাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ায় দল বেঁধে জেলেরা সাগরে গেছেন। জাল ভর্তি ইলিশ শিকার করে তারা ফিশারিঘাটে নিয়ে আসছেন। তারা বলছেন, সাগরে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলছে। ইলিশে ইলিশে ভরে গেছে সাগরপাড়ের আড়ৎগুলো। সেসব ইলিশ বিক্রি হচ্ছে অনেকটা কম দামে। পাইকাররা ইলিশ কিনে পাঠাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন বাজারে।

সাগরে ইলিশ ধরা বেড়ে যাওয়ার প্রভাব খানিকটা পড়েছে বাজারে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ইলিশের দাম অনেকটাই কমে এসেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে কেজিতে কমেছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।

বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিলো ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ৮০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিলো। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিলো।

অবশ্য অন্যান্য মাছের দামে ইলিশের প্রভাব কাজ করছে না। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। শিং ও পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৬০ টাকা। শৈল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকায়। ঈদের পর এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।

অবশ্য, বাজারে বেড়েছে ডিম, কাঁচা মরিচ ও মুরগির দামও। মুরগির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫০ টাকায়। আর পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৬০-২৮০ টাকায়। তবে ১৫ টাকা কমে প্রতিলিটার ভোজ্য তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। করলা ৮০ থেকে ৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা।

এইসব বাজারে বাড়তি দামে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে কিছুটা। কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।

প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে ১৫ টাকা দাম কমে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকার।

এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। বাজারে হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ থেকে ১৯০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ থেকে ১৯০ টাকা। অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন