ঢাকা | বুধবার
১৪ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৩১শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

লজ্জিত হয়ে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে রাজনৈতিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হয়ে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একই সঙ্গে শিক্ষাকার্যক্রমের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে এ ধরনের অনুষ্ঠান না করারও আহ্বান জানান তিনি। গত বুধবার রাতে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু অলিম্পিয়াড ও শিক্ষাঙ্গন ডটকমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

গত ২৫ জুলাই রাজধানীর দক্ষিণখানে চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় এস এম মোজাম্মেল হক শিক্ষা কমপ্লেক্সের মাঠে থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

শিক্ষামন্ত্রী সন্ধ্যায় ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল সাজানো এবং ব্যানার-পোস্টার টানানোর কারণে ওইদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবরে উঠে আসে। বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

দীপু মনি বলেন, মানুষের চাপে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমাদের খেলার মাঠের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এখন খেলার মাঠ বলতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যে খোলা মাঠ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা-ই বুঝি। এর বাইরে খুব বেশি মাঠ নেই। আমরা সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় যেকোনো অনুষ্ঠান করি না কেন সেগুলোতে দেখা যায়, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন, মাঠ বা প্রাঙ্গণ ব্যবহার করি। আমাদের একটা মোটামুটি নির্দেশনা আছে যে শিক্ষা সংক্রান্ত অনুষ্ঠান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে হবে। কিন্তু অন্য যেকোনো অনুষ্ঠান, হাট বাজার বা মেলা বসাতে আমরা নিরুৎসাহিত করি। কোনোভাবেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম যাতে ব্যাহত না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমি আসলে খুবই বিব্রত। এটা আমার অজান্তেই ঘটেছে। আমি গত পরশুদিন ঢাকার দক্ষিণখানে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গিয়েছি। আমি চলে আসার পর জেনেছি যে সেখানে আশপাশের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই মাঠ ব্যবহার করে। সেখানে সেই রাজনৈতিক সমাবেশটি হয়েছে। পরে আমি খোঁজ নিয়ে জানলাম, আমাকে বলা হলো সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শিক্ষাকার্যক্রম চলেছে। যদিও বলা হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে, আসলে কতটা চলেছে সেটা আমি জানি না। ওখানে যখন প্যান্ডেল করা হয়েছে তখন শিক্ষাকার্যক্রম একেবারে নির্বিঘ্নে হয়েছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সে কারণে আমি সত্যিই ভীষণভাবে লজ্জিত ও দুঃখিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন