অর্থপাচার, জালিয়াতি ও প্রতারণা থেকে উদ্ভূত মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত সব ধরনের অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংস্থাটির কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক এ কথা বলেন।
জহুরুল হক বলেন, মানিলন্ডারিংয়ের ব্যাপারে আগে সম্পূর্ণ তদন্ত করতে পারতো দুদক। মাঝখানে একটা আইন, অ্যামানমেন্ট হয়ে দুদকের কাছ থেকে কিছু ক্ষমতা নিয়ে যাওয়া হয়। সম্প্রতি হাইকোর্ট একটা রায়ে বলেছেন শিডিউল অফেন্স যেগুলো আছে সবগুলো দুদক তদন্ত করতে পারবে। এখন দুদকের এই ক্ষমতা আছে।
আরও বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের এক আদেশে বলা হয়, তফসিলভুক্ত যে কোনো অপরাধের বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে পারবে দুদক। আগে মানিলন্ডারিং আইনের আওতায় শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সংশ্লিষ্ট অপরাধ অনুসন্ধান করতে পারত সংস্থাটি। এখন থেকে সবগুলো অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার সুযোগ পাবে।
এখন থেকে সবগুলো অভিযোগ নেবেন কিনা এমন প্রশ্নে জহুরুল হক বলেন, আমরা এখনো অভিযোগগুলো অনুসন্ধানে নিচ্ছি না। বিষয়গুলো নিয়ে ভাববো, হাইকোর্ট বলেছেন আমরা এটা পারি। কারণ এখন আইন আছে, আমাদের ওপর নির্দেশনাও আছে। দুদক এখন যে কোনো তদন্ত করতে পারবে যদি তার তফসিলভুক্ত হয়।