- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান নেই
পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ে দৃশ্যমান উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না: শামীম হাসান, পরিচালক, পিডিবি
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চলছে। তবে এর ফলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং এক ঘণ্টা হওয়ার কথা থাকলেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে লোডশেডিং। গতকাল মঙ্গলাবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মুখপাত্র এবং পরিচালক শামীম হাসান জানান, পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের ফলে পরিস্থিতির এখনো পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ সংক্রান্ত প্লানিং কমিটি এই বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এই কর্মকর্তা আরও জানান, দেশের মোট ১০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি ডিজেল চালিত ও বাকি ৪টি গ্যাস ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার চাহিদা ছিলো ১৩ হাজার ৮৫০ মেগাওয়াট, তার মধ্যে ব্যবহার হচ্ছে ১১ হাজার ৮১০ মেগাওয়াট। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদ ঘাটতি রয়েছে ২০৪০ মেগাওয়াট।
এবিষয়ে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের বিদ্যুৎ বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ বজলুর রহমান বলেন, এটা সরাসরি আমরা দেখি না। তবে আমাদের কাছে ভাসাভাসা তথ্য রয়েছে। এক্ষেত্রে পিডিবি ও পাওয়ার ডিভিশন ছাড়া আমাদের কথা ঠিক হবে না।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাত আটটার পর দোকানপাট বন্ধ করাসহ সরকারের নেওয়া পরিকল্পিত লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ের পদক্ষেপ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ২০ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে ইতোমধ্যে যে উদ্যোগগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলোর রেজাল্ট বিদ্যুৎ বিল হাতে পেলেই বলা যাবে। তবে গত এক সপ্তাহে লোডশেডিংয়ের ফলে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়েছে তাঁর কোনো সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনো নেই।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে চলতি বছরের ২৪ জুলাই পর্যন্ত দেশে বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছেন ৪ কোটি ৩২ লাখ। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫,৭০০ (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ) মেগাওয়াট। এ মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলে ১৪,৭৮২ মেগাওয়াট। দেশে বিদ্যুৎ আমদানির পরিমাণ ১,১৬০ মেগাওয়াট।
