ঢাকা | মঙ্গলবার
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের আহ্বান

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দের সাথে বাংলাদেশে সফররত ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পাকিস্তান এবং নাইজেরিয়া’র বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় সভা হয়েছে। সোমবার ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনোয়ার হোসেন জানান, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫৮৫.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও দুদেশের বেসরকারিখাতের প্রতিনিধিদের মধ্যকার যোগাযোগ সম্প্রসারণ, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে আগামীতে ব্যবসা-বিনিয়োগের এ ধারাবাহিকতা আরো বৃদ্ধি পাবে।

তিনি বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যকার বাণিজ্যে ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নীতিমালার সংষ্কার, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন, ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ শুল্কায়ন প্রতিবন্ধকতা নিরসন করা প্রয়োজন।

দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বারর্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি ইরফান ইকবাল শেখ’র নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ঢাকা চেম্বারের পর্ষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আলোচনায় পাকিস্তানের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের প্রধান বলেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে দুদেশ নিজেদের বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি করতে পারে।

তিনি জানান, তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষকরে সফটওয়্যার রপ্তানিতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ অত্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য হারে উন্নতি করছে, যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিবাচক হতে পারে। বাংলাদেশে উৎপাদিত বিশ্বমানের ঔষধ, তৈরি পোষাক, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হালাল পণ্য, সিরামিক প্রভৃতি পণ্যের পাকিস্তানে প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি অবহিত করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশে নিযুক্ত নাইজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আহমেদ সুলেহ ঢাকা চেম্বারের পরিচালনা পর্ষদের সাথে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭৯.৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৭১.৫৩ এবং ৮.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, নাইজেরিয়া সে দেশের ‘ইজ অব ডুইয়ং বিজনেস’-এর উন্নয়নে শুল্ক নীতিমালার সংষ্কার সহ অনলাইনে ভিসা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ বেশ লক্ষ্যণীয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নাইজেরিয়ার এসএমই খাতে উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। তিনি দু’দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিয়মিত বিটুবি আয়োজনের প্রস্তাব করেন।

তিনি জানান, নাইজেরিয়াতে বাংলাদেশের ঔষধ ও তৈরি পোষাক খাতের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে ।

ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার সম্ভাবনাময় ব্যাণিজ্য ও বিনিয়োগের আরো সম্প্রসারণে “বাংলাদেশ-নাইজেরিয়া বিজনেস কাউন্সেল” গঠনের প্রস্তাব করেন।

এ সময় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন