ঢাকা | শনিবার
২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

সাগরে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ
  • নিষেধাজ্ঞার পরেই সাগরে জাল ফেলার ধুম

মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘ ৬৫ দিন পর উঠে যাওয়ায় জেলেরা নৌকা আর জাল নিয়ে ছুটেছেন সাগরে। এতদিন ধরে অলস সময় কাটানোর পর তারা ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে প্রথমদিনেই তাদের জাল ভরে উঠেছে মাছ। একেবারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছেন তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। গতকাল রবিবার সকাল থেকেই ট্রালারভর্তি ইলিশগুলো ঝুড়িতে করে এনে কক্সবাজার ফিশারি ঘাট মৎস্য আড়তে ফেলছেন শ্রমিকরা। এরপরই ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে আড়তদারদের।

কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুন মৎস্য ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও জেলেদের হাঁকডাকে সরগরম। দীর্ঘদিন পর ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। তবে দাম বাড়তি বলেও জানান তারা। ব্যবসায়ীরা বলেন, মাছের সরবরাহ ভালো। তবে বড় মাছের দাম অনেক। ১০০ ইলিশের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাচ্ছে।

জেলেরা বলছেন, সাগরে জাল ফেলতেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। তারা এতে অনেক খুশি। এক-একটা মাছের ওজন হবে দেড় কেজির মতো। দীর্ঘ ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে তারা বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে বড় বড় ট্রলার যাচ্ছে সাগরে মাছ শিকারে।

আবার কিছু ট্রলার ফিরছে কক্সবাজার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে। প্রতিটি ট্রলারে জেলেদের মুখে হাসি। একদিকে চলছে মাপজোখ। অন্যদিকে চলছে দরদাম। পাইকারি ক্রেতারা দরদাম শেষে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য কার্টনে ভরা শুরু করেন।

ট্রাক ও অন্যান্য গণপরিবহনের ছাদে করে সাগরের এসব ইলিশ চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। মৎস্য ব্যবসায়ী নেতাদের মতে, সরকারের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর লাভবান হওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, কক্সবাজারে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ৬৩ হাজারের বেশি। এ ছাড়া নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজারের বেশি।

সংবাদটি শেয়ার করুন