- কাজ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশের শক্তিশালী ও দক্ষ মানবসম্পদ, শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার, উদীয়মান স্থানীয় ব্যবসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের টি রো প্রাইজ গ্রুপ আইএনসি নামক একটি পুঁজিবাজার ভিত্তিক বৈশ্বিক বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা ফার্মের প্রতিনিধিগণের সাথে একটি বৈঠক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের তথ্য গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগ এবং আইসিটি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন বৈঠকে ডিজিটালাইজেশন, নারীর ক্ষমতায়ন, কর্মে নারীর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, এশিয়ার অন্যান্য দেশের সাথে সংযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের সুযোগের ব্যাপারে কথা বলেন।
১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ফার্মটি ১.৫ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের পোর্টফোলিও তত্ত্বাবধান করে থাকে। বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশে আগত পরিবর্তনসমূহ, রপ্তানি নির্ভর বাংলাদেশী অর্থনীতিকে শক্তিশালীকরণের জন্য গৃহীত পদক্ষেপ, বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ জানান, বেজা, বেপজা, বিডা, পিপিপি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনা সহজ করার জন্য কাজ করছে। এ সময় মহাপরিচালক জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি বিনিয়োগকারীগণের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে এবং মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগ বিদেশী বিনিয়োগকারীগণকে ২৪/৭ সকল ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বর্তমানে অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
ড. মুনতাসির আরো উল্লেখ করেন, মন্ত্রণালয়ের ৩৪টি কনস্যুলার সেবা ও ২৮টি অভ্যন্তরীণ সেবা ইতোমধ্যেই ডিজিটালাইজড করা হয়েছে এবং এতে সেবা প্রদান আরও দ্রুততার সাথে প্রদান করা হচ্ছে। বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সংযোগ বৃদ্ধি, মূলধন ও প্রযুক্তির প্রবাহ সচল রাখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছে এবং বর্তমানে বিরাজমান পেপার বেইজড সিস্টেমের পরিবর্তে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করার কাজ চলছে।
মহাপরিচালক বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগ বলতে শুধু অর্থই নয়, বরং বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের মেধা, প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা, শ্রম ও বাংলাদেশের কাম্য। বৈঠক শেষে, টি রো প্রাইজ গ্রুপ আইএনসির কর্মকর্তাগণ মতপ্রকাশ করেন, তারা বাংলাদেশ সফরে বিভিন্ন বৈঠকে অর্জিত অভিজ্ঞতা থেকে বাংলাদেশের ইতিবাচক দিকগুলো ভালোভাবে অবগত হয়েছেন এবং তারা পুনরায় বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।