ঢাকা | বৃহস্পতিবার
৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা দাবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহায়তা দাবি
  • সব ঋণের মেয়াদ ৮ বছর করতে গভর্নরকে অনুরোধ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটকে সামনে এনে কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিগত সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি-এফবিসিসিআই।

গতকাল বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই’রের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নবনিযুক্ত গভর্নর মো. আব্দুর রউফ তালুকদারকে চিঠি দিয়েছে। এটি দৈনিক আনন্দবাজারের হাতে এসেছে। তবে চিঠির প্রাপ্যতা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলামকে মোবাইলে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

সভাপতির চিঠিতে বলা হয়, ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র নির্বিশেষে সকল শ্রেণির ঋণ গ্রহীতাদের জন্য মেয়াদী, চলমান ও তলবি ঋণ সকল ক্ষেত্রেই গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ মেয়াদ ৮ বছর নির্ধারণের অনুরোধ করছি। সেই সাথে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনেও ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হার বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সকলের জন্য একই হারে অর্থাৎ ২.৫০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখছি। সেই সাথে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠনেও ন্যূনতম ডাউন পেমেন্টের হার বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সকলের জন্য একই হারে অর্থাৎ ২.৫০ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব রাখছি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখা, শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি বাবদ সরকারি তহবিল থেকে বিশেষ প্রণোদন প্রদান, শিল্প ও সেবাখাতে মূলধনে ঋণ প্রদান, প্রি-শিপমেন্ট ক্রেডিটখাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম, সিএমএসএমইখাতে বিশেষ ঋণ সুবিধা, কৃষিখাতে মূলধন সরবরাহ, নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও ইউক্রেন সংকট বিবেচনায় ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা শর্ত সাপেক্ষে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে ব্যবসায়ীদের ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হওয়ায় শর্ত সাপেক্ষে ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা গ্রহণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তাতে বলা হয়, ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা গ্রহণ করতে প্রদেয় কিস্তিসমূহের ন্যূনতম পরিমাণ পরিশোধের শর্ত শিথিল করে সিএমএসএমই ও কৃষিখাতের জন্য সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ এবং বৃহৎ শিল্পখাতের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নির্ধারণের জন্য এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বিষয়টি বিবেচিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

চিঠিতে মো. জসিম উদ্দিন দাবি করেন, কোভিড-১৯ এর দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রভৃতিকে বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত নতুন মাস্টার সার্কুলার (বিআরপিডি-১৬) জারি করেছে। এ পদক্ষেপ বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আর্থিকখাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নিঃসন্দেহে অত্যন্ত সহায়ক হবে। তবে এ সার্কুলারে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণে মেয়াদী ঋণ এবং চলমান/তলবি ঋণের ক্ষেত্রে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের জন্য পৃথক সর্বোচ্চ মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সকল শ্রেণির ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সম-সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। কেননা সকলেই একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন