প্রাচীন যুগের ‘কাবুলিওয়ালা’ দণ্ডসুদ কিংবা চক্রবৃদ্ধি সুদ গণনার পদ্ধতি বাতিল করে কার্যকর হচ্ছে সিঙ্গেল ডিজিট বা এক অঙ্কের সুদ হার। আগামী ১ জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ঋণের সরল সুদ ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে নতুন যুগে পদার্পণ করবে ব্যাংকিং খাত।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এবং অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। ঘনবসতিপূর্ণ এবং বহুল বেকারত্বের এই দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে শিল্প ও কর্মসংস্থানমুখী খাতের প্রসার জরুরি। কিন্তু উচ্চ সুদ হারের কারণে এদেশে শিল্পখাত বিকশিত হতে পারেনি।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সুদ হার প্রয়োগ হয়ে আসছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে। পাশাপাশি চক্রবৃদ্ধি সুদ হার বা কম্পাউন্ড রেট থাকায় রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায়ও পিছিয়ে পড়ছিল বাংলাদেশ। ব্যবসায় লোকসান গুনে ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে পারেননি উদ্যোক্তারা। ফলে, বেড়েছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও।
এরই মধ্যে অর্থমন্ত্রীর নেওয়া কিছু পদক্ষেপও প্রশংসিত হয়েছে। এর আগে যারা কষ্ট করে ব্যাংকের কিস্তি দিতেন, তাদের জন্য কোনো প্রণোদনাও ছিল না। অথচ ইচ্ছেকৃত খেলাপি কিংবা প্রভাবশালীরা সুদ মওকুফসহ নানা সুবিধা আদায় করে নিতেন। বিষয়টি দৈনিক ইত্তেফাকে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে নজরে আনলে ভালো গ্রহীতাদের জন্য ১০ শতাংশ রিবেট প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এদিকে, সিম্পল ও সিঙ্গেল ডিজিট সুদ হারের বিনিময়ে ব্যাংকগুলো বেশ কিছু সুবিধা সরকারের কাছ থেকে আদায় করে নিলেও নানা ফন্দিফিকির খুঁজছে। তারা নির্দেশনা মানলেও সার্ভিস চার্জ বাড়ানো এবং প্রসেসিং বৃদ্ধির মাধ্যমে ঋণের খরচ বাড়ানোর ফন্দি করছে বলে ব্যাংকিং সূত্র জানায়।
আনন্দবাজার/ইউএসএস