ঢাকা | বৃহস্পতিবার
২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাঁচাবাজার বর্জনে পাইকাররা

কাঁচাবাজার বর্জনে পাইকাররা
  • পাহাড়ে দুশ্চিতায় কৃষকরা

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা বাজারে টোল, ট্যাক্স ও চাঁদা আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে কাঁচা বাজার বর্জন করেছে স্থানীয় পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে আসা ফল বিক্রেতারা বেকায়দায় পড়েছে। এতে থানা বাজার এলাকা সড়কে দুই পাশে কলা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন কাঁচা পন্য স্তুপ হয়ে পঁচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দুশ্চিতায় পাহাড়ের চাষিরা।

উপজেলার দীঘিনালা থানা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, শতশত সাধারণ কৃষক প্রতি সপ্তাহের সবজি, আম, কলা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন কাঁচা পণ্য পাইকারি বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় বেপরোয়া টোল ও চাঁদা আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কাঁচা বাজার বর্জন করায় শত শত কৃষকের কাঁচা পণ্য নষ্ট হয়ে যায়।

কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাঁচা বাজার বর্জন করায় লোকসানে সাধারণ কৃষকরা। অনেক সাধারণ কৃষকরা ঈদের আনন্দ থেকেও বঞ্চিত হবে।

কাঁচামাল ব্যবসাযী ইদ্রিছ বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের চাঁদা, বিভিন্ন ঠোল হঠাৎ করে দ্বিগুণ হওয়ায় আমাদের লোকসান শুণতে হচ্ছে। এসব টোল এবং বিভিন্ন চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদ মৌসুমী পল বেচাকেনা বন্ধ রেখেছি।

দীঘিনালা উপজেলা কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সভাপতি আমিনুর রহমান বাঁচা বলেন, কাঁচাপণ্যের ব্যবসায় জেলার বিভিন্ন জায়গায় পরিবহনে পথে পথে বাজার ফান্ড, পৌরসভা, বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নামে বেপরোয়া টোল ও চাঁদা আদায়ে অতিষ্ঠ হয়ে কাঁচা বাজার বর্জন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চাঁদার টাকা দেয়ার পরও ব্যবসায়ী ও ড্রাইভারদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবৈধ চাঁদা বন্ধসহ ব্যবসায়ী গাড়ি চালকদের নিরাপদ ব্যবসার পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত সকল প্রকার মৌসুমী ফল বেচাকেনা বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, এবিষয়ে সুরহা চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত কোনো পাইকারি ব্যবসায়ী পণ্য কিনবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন