ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পদত্যাগ করেছেন। নিজ দলের মন্ত্রীদের গণপদত্যাগ এবং এমপিদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার সরকারপ্রধানের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

এদিন ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি বাসভবনের দরজায় দাঁড়িয়ে জনসন বলেন, সহকর্মীদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কিন্তু পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন এ কনজারভেটিভ নেতা।

অবশ্য এর আগে পদত্যাগ করতে অস্বীকার করেছিলেন বরিস জনসন। তিনি বলেছিলেন, একজন প্রধানমন্ত্রীর কাজ হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা। তাই আমি পদত্যাগ করবো না। তাছাড়া আমার প্রতি বড় ম্যানডেট রয়েছে।

কিন্তু এরপর একযোগে ৫৪ মন্ত্রী পদত্যাগ করলে জনসন সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়। শেষপর্যন্ত তিনি দলীয় মন্ত্রী-এমপিদের অনুরোধে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন।

বরিস এবং তার সরকার সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন। করোনা লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিটে একাধিক মদের আসর বসিয়ে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। গত মাসে তার বিরুদ্ধে দলীয় আস্থাভোট আনা হলেও এতে পার পেয়ে যান বরিস।

কিন্তু দলে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয় ডেপুটি চিফ হুইপ হিসেবে ক্রিস পিনচারকে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার পর। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বরিস স্বীকার করে বলেন, ক্রিস পিনচারের অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়টি তার জানা ছিল। তারপরও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ডেপুটি চিফ হুইপ করেন তিনি। এটি ছিল তার একটা ‘বাজে ভুল’। বরিসের এই স্বীকারোক্তি তাকে চাপে ফেলে দেয়।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন