ঢাকা | শুক্রবার
২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গতি ফিরেই ধাক্কা

গতি ফিরেই ধাক্কা

২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ২শ কোটি টাকা নাই

লেনদেন

  • ডিএসইতে ৯শ থেকে ৭শ কোটিতে
  • সিএসইতে ৪০ কোটি থেকে ২৬

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার লেনদেন কমে ৭শ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করে। অপরদিক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন লেনদেন কমে ২৬ কোটি ঘরে চলে এসেছে। উভয় স্টকের সব ধরনের সূচক পতন হয়। কমেছে দুই স্টকে অধিকাংশ কোম্পানি শেয়ার ও ইউনিট দর।

বিভিন্ন মহলের শত চেষ্টায় পুঁজিবাজার উত্থানে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, সবাই ধৈর্য ধরুন,পুঁজিবাজার ভালো হবে। শিবলী রুবাইয়াতের এমন আশ্বাসের ঠিক পরের কার্যদিবস সত্যিই ঘুরে দাঁড়ায় পুঁজিবাজার। কিছুদিন পর ঘুরে ফিরে সেই পুঁজিবাজার উত্থান পতন গড়াগড়ি। সেই ধারায় গত বুধবার পুঁজিবাজার পতনে রূপে ফিরেছে। এ ধরনের পতন বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।

দুই স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৫৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং সিএসইর ৫৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। অপরদিকে ডিএসইর ৩০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং সিএসইর ২৮ দশমিক ৮১ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। 

ডিএসইতে গতকাল বুধবার লেনদেন হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৯৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ২১০টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির।

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৬৬ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক দশমিক শূন্য ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ২৯৯ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৩৮৯ দশমিক ১৯ পয়েন্টে।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে (বুধবার) লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৭২টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৩টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২০ দশমিক ৬২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭৪৯ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ২৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩৩ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ১২ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৭৮ দশমিক ১৪ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ৪১ পয়েন্টে, ১১ হাজার ২৩৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ১৮৬ দশমিক ২৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। বেক্সিমকো ৫৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা, ফরচুন সুজ ৪০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা,  ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুড ১৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ১৬ কোটি ২২ লাখ টাকা, সোনালি পেপার ১৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ১৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ১১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

অপরদিকে সিএসইতে পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস ৩ কোটি ১১ লাখ টাকা, ইউনিয়ন ব্যাংক ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ৭১ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ৫৪ লাখ টাকা, এপেক্স ট্যানারি ৫৩ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং ৫৩ লাখ টাকা, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক ৫২ লাখ টাকা, এসিআই ফরমুলেশন ৪৯ লাখ টাকা এবং আমান ফিড ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন