ঢাকা | বুধবার
৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘পাস-ফেলে বিচার নয়’

‘পাস-ফেলে বিচার নয়’
  • ফেলকে স্ক্রিনিংয়ে পাল্টে দিলেন ঢাবি উপাচার্য

এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফল করা শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়। অথচ সেখানেও গণফেল। গত ২৭ জুন ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। এতে ফেল করে ৯০.১৩ শতাংশ ও পাশ ৯.৮৭ শতাংশ। ১ হাজার ৭৮৮টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৫৬ হাজার ৯৭২ জন।

গত ৩ জুলাই “গ” ইউনিটে ফেল করেছে ৮৫.৭০ শতাংশ ও পাশ ১৪.৩০। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ২৯ হাজার ৯৯৭ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ২৮৯ জন। গতকাল ৪ জুলাই ‘ক’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থীই ফেল ও ১০ দশমিক ৩৯ শতাংশ পাস করে।

এ বছর ‘ক’ ইউনিটে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ১৫  হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ১ লাখ ১০ হাজার ৩৭৪ জন। পাস করেছেন মাত্র ১১ হাজার ৪৬৬ জন শিক্ষার্থী।

এসব ফেলকে ফেল না বলে স্ক্রিনিং বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। মাত্র ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস মার্ক পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন, ফেল করেছে বলা যাবে না। এটা এক ধরনের স্ক্রিনিং। পাস-ফেল দিয়ে বিচার করার সুযোগ নেই। এখানে স্ক্রিনিংয়ে বাদ পড়েছে এমন কেউ ঠিকই অন্য কোথাও ভালোভাবে ভর্তি হতে পারবে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা যারা দেন, তারা নানা জায়গা থেকে এইচএসসি পাস করে আসেন। আর তাদের মূল্যায়ন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। ফলে তাদের অভিজ্ঞতায় একটা গ্যাপ হয়। পুরো বিষয়টি স্ক্রিনিং হিসেবেই আমি দেখতে চাই।

সংবাদটি শেয়ার করুন