মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে খুলনার কাঁকড়া রফতানি ৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি

বিশ্ববাজারে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়ার চাহিদার সাথে সাথে বাড়ছে জনপ্রিয়তাও। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের গত পাঁচ মাসে এ অঞ্চল থেকে ৮৫ শতাংশ কাঁকড়া রফতানি  বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে তীব্র গরম, রোগ-বালাই, ঘেরে পানির স্বল্পতা, পানিতে অক্সিজেন কম থাকাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি চাষ বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য চাষীরা কাঁকড়া চাষে মনোযোগী হচ্ছেন।

রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) খুলনার পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ অঞ্চল থেকে আগের অর্থবছরের তুলনায় ১২ লাখ ২০ হাজার ৭৫৬ দশমিক ৬ ডলার মূল্যমানের বেশি কাঁকড়া রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছর এখান থেকে কাঁকড়া রফতানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৯৫৫ দশমিক ৪৩ ডলার। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই (জুলাই-নভেম্বর) সেই পরিমাণকে ছাড়িয়ে রফতানি হয় ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৭১২ দশমিক ৩ ডলারের কাঁকড়া। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রফতানির পরিমাণ ৮৪ দশমিক ৭১ ভাগ বেশি।

বিশ্বের সাতটি দেশে সুন্দরবন অঞ্চলের কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে। পাশাপাশি বেড়েছে এর চাহিদাও। চীন, তাইওয়ান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়ায় এ কাঁকড়া রফতানি হচ্ছে।

কাঁকড়া চাষে রোগ-বালাই কম হওয়া ও বেশি দাম পাওয়ার কারণে সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলাগুলোতে বেড়েছে কাঁকড়া চাষ।

কাঁকড়া চাষীরা জানান, তিন মাস সময়ের মধ্যে পুরুষ ও মহিলা জাতের কাঁকড়া বিদেশে রফতানিযোগ্য হয়। কাঁকড়া শৈত্যপ্রবাহ ও দাবদাহে মারা যায় না। প্রতি কেজি চিংড়ি প্রকারভেদে যেখানে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়, সেখানে কাঁকড়া বিক্রি হয় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে।

আরও পড়ুনঃ  শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হার কমে গেছে ভারতে

রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান সুমাইয়া সি ফুডের মো. মুসা শেখ বলেন, বিশ্ববাজারে সুন্দরবনের কাঁকড়ার চাহিদা ব্যাপক। এ অঞ্চলের কাঁকড়া অন্য যেকোনো এলাকার চেয়ে সুস্বাদু। আধুনিক চাষ পদ্ধতির প্রশিক্ষণ পাওয়া চাষীরা এ কাঁকড়া চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

খুলনা জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মো. আবু ছাইদ বলেন, সাধারণত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাঁকড়া চাষের মৌসুম। চাষ শুরু করে চাষীরা প্রতি মাসে দুবার বিক্রিযোগ্য কাঁকড়া তুলতে পারেন। গুণগত মান ঠিক রাখতে পারলে কাঁকড়া রফতানির অবাধ সুযোগ রয়েছে, যা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন