ঢাকা | মঙ্গলবার
৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্যটক বরণে প্রস্তুত চরফ্যাশনের বিনোদন কেন্দ্র

পর্যটক বরণে প্রস্তুত চরফ্যাশনের বিনোদন কেন্দ্র

দ্বীপজেলা ভোলার চরফ্যাশনে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্যের কিছু প্রাকৃতিক নিদর্শন। যেখানে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় ছোট ছোট দ্বীপ। এ দ্বীপ রয়েছে বিভিন্ন দৃশ্যমান সৌন্দর্যের বিনোদন কেন্দ্র। পর্যটকদের আকর্ষিত করতে বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে বাহারি রং ও রঙিন বাতিতে নতুন সাজে সজ্জিত করে তোলেন কর্তৃপক্ষ।

মেঘনা ও তেতুলিয়ায় সমুদ্রের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের ছায়াঘন নিবিড় পরিবেশে ঘুরে বেড়ানোসহ মায়াবী হরিণ দেখার আনন্দ উপভোগ করেন পর্যটকরা। এখানে রয়েছে উপমহাদেশের সর্বোচ্চ ‘জ্যাকব ওয়াচ টাওয়ার’। দৃষ্টিনন্দন এ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা উপভোগ করেন ১০০ বর্গকিলোমিটার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য।

ঈদকে সামনে রেখে বিনোদন কেন্দ্রগুলো নতুন সাজে সজ্জিত। প্রকৃতির এ সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের এমন মনোরম দৃশ্য মণ ছুঁয়ে যাবে বহুদুর। যেই দিকে দু’চোখ যায় সেই দিকেই নানান রঙ বিরঙ্গের দৃশ্য।

চরফ্যাশন উপজেলার খ্যাতিময় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক, বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক, মায়া নদী ব্রিজ, খামার বাড়ি সহ চর কুকরি-মুকরি ও তারুয়া দ্বীপ দেশের বিখ্যাত প্রাকৃতিক দ্বীপগুলির মধ্যে একটি। এছাড়া এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন প্রাণির মূর্তি বসানো হয়েছে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে জন্য সাগর মোহনার মনপুরা দ্বীপের খ্যাতি রয়েছে। মেঘনার অথই পানির সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে সাগর ঢেউয়ে গাঁ ভাসানোর সুযোগ। উপজেলার সর্বদক্ষিণের রহমানপুর গ্রামে রয়েছে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ এ সী-বিচকে ঘিরে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা। নাম রেখেছে ‘দক্ষিণ হাওয়া সী-বিচ। উপজেলার বিনোদন কেন্দ্রের এ পর্যটক এলাকাগুলো ঘুরতে আসা পর্যটকদের পড়তে হয় বিভিন্ন সমস্যায়। এ এলাকার বিভিন্ন নৌপথে নেই কোনো নিয়মিত নৌযান। রিজার্ভ করতে হয় স্পিডবোট, ট্রলার বা ইঞ্জিনচালিত নৌকা, যা পর্যটকদের জন্য খুবই ব্যয়বহুল। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর সুনীল-শুভ্র জলাধারাসহ বঙ্গোপসাগরের বিরাট অংশ। পর্যটন ক্ষেত্রগুলোতে যাতায়াতসহ আনুষাঙ্গিক সবকিছু করতে হবে সহজলভ্য এমনটাই আশা করেন পর্যটকরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন