বাংলাদেশে উৎপাদিত ঔষধসামগ্রীর ফিলিপাইনের বাজারে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পরিমাণ দৃশ্যত সন্তোষজনক নয়। তবে বিগত এক দশকে বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রদূত।
২৪ জুন ২০২২ ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ’ পালনের অংশ হিসাবে ম্যানিলাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ফিলিপাইন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (পিসিসিআই)-এর সহযোগিতায় স্থানীয় একটি হোটেলে সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।
এতে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ, পররাষ্ট্র দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীসহ প্রায় ষাট জন অংশগ্রহণ করেন।
রাষ্ট্রদূত এফ. এম. বোরহান উদ্দিন সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগ প্রধান নাথানিয়েল জি. ইম্পেরিয়াল এবং ফিলিপাইন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর আন্তর্জাতিক কমিটি চেয়ারম্যান জুড অ্যাগুইলার সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ দূতাবাস ইতোমধ্যে ২৬শে নভেম্বর ২০২১ তারিখে সেবু চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিএবং ৬ জুন ২০২২ তারিখে দাভাও চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাথে পৃথক সভার আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের পরিমাণ দৃশ্যত সন্তোষজনক নয়। তবে বিগত এক দশকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফিলিপাইন পররাষ্ট্র দপ্তরের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগ প্রধান নাথানিয়েল জি. ইম্পেরিয়াল বলেন, দক্ষিণ-পূবর্ এশিয়ার অন্যতম দেশ যারা ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির চমৎকার সুযোগ রয়েছে। তিনি একটি বিজনেস কাউন্সিল গঠনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন।
অতিথিদের বক্তব্য প্রদানের পর দূতাবাসের কাউন্সেলর সায়মা রাজ্জাকী ‘বাংলাদেশ এবং ফিলিপাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ২০ মিনিটের একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।
আনন্দবাজার/টি এস পি
