মেয়াদ-ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ
জামালপুর শহরের গেইটপাড় এলাকায় রেলওয়ে ক্রসিং থাকায় শহরের মধ্যে যানজট লেগেই থাকে। যখন ট্রেন চলাচল করে তখন তীব্র যানজটরে সৃষ্টি হয়। কখনো তা জামালপুর শহরের প্রায় তিন কিলোমিটার সড়কে অসহনীয় যানজটও দেখা দেয়। ফলে হাসপালের রোগীসহ ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারি মানুষদের। তাছাড়া রয়েছে ব্যাটারি চালিত রিকশার দৌরাত্ম্য।
ট্রেন চলাচলের জন্য সৃষ্ট যনজট নিরসন ও নিরবিচ্ছিন্ন রেল যোগাযোগ স্থাপনের জন্য উদ্যোগ নেয় সরকার। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ একটি ওভারপাস নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। ২১১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটি ২০১৭ সালে থেকে ২০২০ সালের জুন মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে বিশেষ সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বাড়িয়ে ২৯১ কোটি করা হয়। কিন্তু কাজ শেস না হওয়ায় প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে মেয়াদ ১ বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
বর্ধিত সময় ও ব্যয়ের মাধ্যমেও প্রকল্পটি শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় বার ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ আরো একবছর বাড়িয়ে ২০২২ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। প্রকল্প শুরু হওয়ার ৫ বছর পরে এস এখন আবার প্রায় ৪৫ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। ফলে ব্যয় দাড়াচ্ছে ৪২৫ কোটি টাকা। পরে পরিকল্পনা কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির সভায় পৌনে ২ কোটি টাকা ব্যয় কমিয়ে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করা হয়। ফলে প্রকল্পটির ব্যয় ও মেয়াদ বেড়ে দিগুণ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ যানজট নিরসনের প্রকল্প নিজেই জটে পড়ে গেছে।
প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে ওভারপাসটি নির্মাণ করা হলে বছরে প্রায় ২৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পরিবহন ব্যয় কমবে। আয়-ব্যয় বিশ্লেষণেও প্রকিল্পটিকে লাভজনক বলা হয়েছে। আর ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন ভূমি অধিগ্রহণ আইনকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবল্পের মোট ব্যয়ের ৮৫ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ৮৭ শতাংশ হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ৩৫৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ১ দশমিক ১৭ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। ৪১৫ মিটার পিসিগার্ডার রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ, যাতে ব্যয় হবে ৩৯ কোটি টাকা। ৩২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে র্যাম্প নির্মাণ হবে ৩২৩ মিটার। তাছাড়া ইউটিলিটি স্থানান্তর করতে ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য, পর্যায়ক্রমে দেশের অন্যান্য জেলা সদরেও একইভাবে যানজট নিরসনে রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্ররিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি।
আনন্দবাজার/শহক