সম্প্রতি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ফোন নম্বরসহ ব্যাক্তিগত নানা তথ্য ফাঁস হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ কোটি ৬৭ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্যগুলি অনলাইনে ডেটাবেইস আকারে রাখা ছিল। এদিকে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ফাঁস হওয়া এসব তথ্য স্প্যামিং ও ফিশিংয়ের মতো প্রতারণামূলক কাজে ব্যবহার হতে পারে।
এ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে বলে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান কম্পারিটেকের তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ বব ডিয়াচেঙ্কো সম্প্রতি ফেসবুক থেকে ফাঁস হওয়া তথ্যের ডেটাবেইস খুঁজে পান। ৪ ডিসেম্বর ওই ডেটাবেইস অনলাইনে ইনডেক্স করা হয়। তবে এখন ওই ডেটাবেইস সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ফেসবুকের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ব্যক্তিগত তথ্য আরও ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার আগের এসব তথ্য সংগ্রহ করা হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ফেসবুকসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একই পাসওয়ার্ড সব অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না। অনলাইন প্রাইভেসি সুরক্ষায় নিয়মিত পাসওয়ার্ড হালনাগাদ করুন। পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা অনেকের জন্য ঝামেলার মনে হলেও এটি অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে তথ্য ফাঁসের মতো ঘটনায় অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস