সদ্য সমাপ্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের প্রিন্ট কপি না দেখিয়ে পক্ষপাতমুলক ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ এনে পরাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং এক সংরক্ষিত নারী সদস্য সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে পৃথক পৃথক এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আনছার উদ্দিন মোল্লাকে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করে। অপর দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারস প্রতীকের (স্বতন্ত্র) মোঃ শফিকুল আলম ও ইসলামী আন্দোলন মনোনিত (হাতপাখা) প্রার্থী মোঃ মোসলেম মুসুল্লী মুছা ইভিএম নয়, প্রিজাইডিং অফিসারদের বিরুদ্ধে হাতে লেখা ভোটের ফলাফল ঘোষণার অভিযোগ আনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, ইভিএম এর প্রিন্ট কপি পুলিং এজেন্টদের না দেখিয়ে মৌখিকভাবে মোঃ আনছার উদ্দিন মোল্লাকে কারচুপির মাধ্যমে বেসরকারীভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এসময় আমাদের এজেন্টরা প্রিন্টেড কপি চাইলেও তারা না দিয়ে এজেন্টদের স্বাক্ষর চেয়েছেন। এসব নিয়ে ভোট কেন্দ্রে বিক্ষোভ হয়েছে। আমাদের এজেন্টগণ ঘোষিত ফলাফল চ্যালেঞ্জ করলে তারা পুলিশি সহায়তা নিয়ে ফলাফল সিটে স্বাক্ষর গ্রহণ ছাড়াই ভোট কেন্দ্র থেকে সটকে পড়েন। হাতপাখ প্রতীকের পরাজিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোসলেম মুসুল্লী মুছা বলেন, ইতোমধ্যে আমরা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ইভিএম এর প্রিন্ট কপি সরবরাহের আবেদন করেছি। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশীদ পরাজিত ইউপি প্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ইভিএম এর কোন প্রিন্ট কপি সরবরাহের বিধান নেই। ফলাফল দেখার এবং আপত্তি করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তে। কোন প্রার্থী তখন কথা না বললে এর দায় আমাদের নয়।