এক মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল চাঁপাইনববাগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর। মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে মাত্র চার ট্রাক পাথর এলেও বুধবার থেকে পুরোদমে আমদানি শুরু হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দরে হঠাৎ করে মাশুল বৃদ্ধি ও ভারতীয় আমদানিকারকরা পাথরের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।
আমদানিকারকরা মূলত দুটি কারণে পাথর আমদানি বন্ধ করে দেয় বলে জানান আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। এর মধ্যে প্রধান কারণ ছিলো ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরের পাথর রফতানিকারকদের স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ ও অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। এই স্বেচ্ছাচারীতা নিয়ে বাংলাদেশের আমদানিকারক ও ভারতের রফতানিকারকদের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।
এছাড়া সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেড হঠাৎ করেই মাশুল বাড়ানোর কারণে আমদানিকারকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এখন থেকে পাথর আমদানির ক্ষেত্রে পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ওয়্যার হাউসের পাশাপাশি আমদানিকারকরা নিজস্ব ওয়্যার হাউস ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাকে মাশুল অনেক কম গুনতে হবে।
পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ডেপুটি পোর্ট ম্যানেজার জানান, সরকার নির্ধারিত করে দেয়া মাশুল আদায় করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্তরা চাইলেই বন্দরের মাশুল কমাতে পারেন না। সাথে বন্দর মাশুলের সঙ্গে অন্যান্য চার্জগুলোও নেয়া হয়, সেগুলো কিছুটা কমানো হবে।
আনন্দবাজার/শাহী