ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের উদ্যোগেও হাসি ফুটছেনা আমন চাষিদের

এবার আমনের চলতি মৌসুমের শুরুতেই সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারের  ধান কেনার ঘোষণায় কৃষকেরা খুশি হলেও বর্তমানে তারা হতাশ। বর্তমানে দেশের হাট-বাজারগুলোতে যে দরে আমন বিক্রি হচ্ছে, তাতে কৃষকের উত্পাদন খরচই উঠছে না বলে অভিযোগ করেছেন চাষিরা।

অন্যদিকে কৃষক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে সরকারের ধান কেনা শুরুই হয়নি। তাই বিপাকে পড়েছেন আমন চাষিরা। সংশ্লিষ্টখাতের ব্যক্তিরা জানান, সরকার এবার আমন মৌসুমের শুরুতে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ৬ লাখ টন ধান কেনার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

এছাড়াও মিলমালিকদের কাছ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ লাখ টন সেদ্ধ চাল এবং ৩৫ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আতপ সংগ্রহ করবে সরকার। সেই হিসাবে প্রতি মণ ধানের দাম পড়ে ৯৬২ টাকা (৩৭ কেজিতে ১ মণ হিসেবে)।

এই দামে সরকারের কাছে কৃষকেরা ধান বিক্রি করতে পারলে তাদের বেশ ভালো লাভ হতো। তবে কৃষক নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় কোনো কোনো অঞ্চলে এক ছটাক ধানও কেনা হয়নি। কিন্তু গত ২০ নভেম্বর থেকে এই সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ার কথা ছিল।

সংশ্লিষ্টখাতের ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে দেশের হাট-বাজারগুলোতে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা দরে। আর এই দামে ধান বিক্রি করে কৃষকেো লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে সরকার যদি এখন পুরোদমে কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারত, তাহলে ধানের বাজারে একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ত। আরো বেশি দামে হাট-বাজারগুলোতেই ধান বিক্রি হতো।

তারা বলেন,বর্তমানে কৃষকের কাছে ধান রয়েছে, কিন্তু আর কিছুদিন পর এই ধান তাদের হাতে থাকবে না। ধান চলে যাবে মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়াদের হাতে। কারণ প্রান্তিক কৃষকেরা মহাজনসহ বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে ফসল ফলান। তারা মৌসুমের শুরুতেই ঋণ পরিশোধের জন্য ধান বিক্রি করতে বাধ্য হন। তাই তারা এখন কম দামেই তাদের হাতে থাকা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ধান-চাল ক্রয় মনিটরিং করতে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। টিমগুলো সারাদেশে ধান-চাল সংগ্রহ ও বাজারদর মনিটরিং করছে। কোনো অনিয়ম পেলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন