- পানির লাইন স্থানান্তরে বাধা
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর এলাকার খালের ভেতরে স্থাপন করা পৌরসভার পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপনে বাধার অভিযোগ উঠেছে।
এ কারণে খালে স্থাপন করা পাইপ লাইনের ভাঙা অংশ গিয়ে একদিকে প্রতিদিন হাজার লিটার পানি অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে খালের দূষিত পানি পাইপ দিয়ে ঢুকে শহরের বাসা-বাড়িতে ব্যবহার হচ্ছে। এতে হুকমির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী পৌরসভার পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর এলাকায় বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) মাইজদী-উদয় সাধুরাহাট সড়কের পাশে ওই পানির লাইন স্থাপন করা হয়। তখন সড়কের পাশে মাটি না থাকায় সালেহপুর এলাকায় প্রায় ২০০ মিটার পাইপলাইন স্থাপন করা হয় পাশ্ববর্তী খালের ভেতর।
সূত্র জানায়, খালে পাইপ লাইন স্থাপনের পর একাধিকবার অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা লাইনের পাইপের কয়েকটি স্থানে ভেঙে দেয়। যা পরবর্তীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদার মেরামত করে দেন। সর্বশেষ গত ১০-১৫ দিন আগে একই এলাকায় কাছাকাছি স্থানে আবারও পাইপ ভেঙে দেয় দুর্বৃত্তরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে খালে স্থাপন করা পানির লাইনটি পাশের সড়কের কিনারে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হলেও একাধিকবার স্থানীয় কয়েকজন লোক তা স্থানান্তরে বাধা দেয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার দুপুরের দিকে পাইপ স্থানান্তর কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, স্থানীয় কয়েকজন লোক সড়ক ও জনপদ বিভাগের পক্ষে ভূমিকা নিয়ে কথা বলে কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালের ভেতর দিয়ে স্থাপন করা পাইপের ভাঙা অংশ দিয়ে হাজার হাজার লিটার পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আরও জানান, পাম্প যখন বন্ধ করা হয় তখন খালের দূষিত দুর্গন্ধযুক্ত এই পানি আবার পাইপে ঢুকে পড়ে। এতে পাইপের দূষিত পানি সহজেই শহরের বাসাবাড়িতে সরবরাহ সরব হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নোয়াখালী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আহাদ উল্যাহ বলেন, মূল সড়কের ক্ষতি না করে কিনারের মাটির অংশে পৌরসভার পানির লাইন বসানোর বিষয়ে কোনো আপত্তি সওজ থেকে করা হয়নি। কারণ সড়ক এবং পানির লাইন দুটোই সরকারের। তবে স্থানীয় লোকজন কী কারণে কাজে বাধা দিচ্ছে তা তারা জানেন না।
পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান বলেন, খালের ভেতর স্থাপন করা পানির সরবরাহ লাইন স্থানান্তর করে সড়কের পাশে বসাতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন লোক কাজে বাধা দেয় এবং কাজ বন্ধ করে দেয়। তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি থানায় অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে পরি¯ি’তি শান্ত করে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি চক্র কাজে বাধা দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন মেয়র।
আনন্দবাজার/শহক