ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শুল্ক প্রত্যাহারে প্লাস্টিকদূষণ বাড়ার শঙ্কা

শুল্ক প্রত্যাহারে প্লাস্টিকদূষণ বাড়ার শঙ্কা

পরিবেশের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকবার নিরুৎসাহিত করেছে সরকার। এরঅংশ হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। তবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সব ধরনের পলিথিন ও প্ল্যাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।

উভেন প্লাস্টিক ব্যাগসহ মোড়কজাত করার পলিথিনও রয়েছে শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাবে। স্থানীয় উৎপাদক পর্যায়ে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং কর বোঝা কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী। এদিকে পরিবেশবাদীরা এ প্রস্তাবের নিন্দা করে বলেছেন, এতে পরিবেশের জন্য প্রচণ্ড ক্ষতিকর একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয় (সিঙ্গেল ইউজ) এমন প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়বে।

পরিবেশবাদী সংগঠন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্র (ক্যাপস) -এর চেয়ারম্যান ও বাপার অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, শুল্ক প্রত্যাহারের এ প্রস্তাবনায় আমি অবাক হয়েছি। গত ১০ বছরের বাজেট পর্যালোচনায় পরিবেশে বরাদ্দ কমছিল এবং পরিমাণও কম ছিল। এবার এসে একটু বাজেট বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটাকে শাধুবাদ জানাই, কিন্তু প্লাস্টিক ও পলিথিনে শুল্ক প্রত্যাহারের মাধ্যমে ভালো একটি বাজেটকে সীমাবদ্ধতায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এমনিতেই পরিবেশগত সবচেয়ে বড় সমস্যার একটি হলো প্লাস্টিক। এটার কারণে মাটি,বায়ু, পানি নষ্ট হয়ে ৩ ধরণের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তারপরও যদি এসব পণ্যের দাম কমানো হয় তাহলে এটা দূষণকারীদের প্রণোদনা-উৎসাহ দেয়া হবে। পরিবেশবান্ধব বাজেট বলতে হলে এসব সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করতে হবে। তাছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রের দামও বাড়ছে। আমরা এই দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনার প্রস্তাব ও দাবি জানাচ্ছি।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫’ অনুসারে, সব ধরনের পলিব্যাগ অথবা পলিথিন বা পলিপ্রোপেলিন থেকে প্রস্তুতকৃত পণ্য নিষিদ্ধ। তবে এই আইনে রাখা একটি বিধানে কিছু কাজে এগুলি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব ধরনের পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যাগের ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। উল্লেখ্য, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত পরিবেশ রক্ষায় পাটের তৈরি ব্যাগের ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে এই শুল্কারোপের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন