সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনা করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। প্রস্তাবিত বাজেটে সার্বিকভাবে দাম বাড়বে অনেক পণ্যের। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে এ প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন শুরু করেন মোস্তফা কামাল।
প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রা সুরক্ষা করতে বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বিলাসী পণ্য যেমন-বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ হতে পারে। তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়বে। শুল্ক আরোপ করা হবে র। এনবিআর সূত্র অনুযায়ী, সিগারেটের নিম্ন স্তরের তিনটি স্ল্যাবে বেশি দাম বাড়তে পারে। এছাড়া অগ্রিম কর আরোপের কারণে দাম বাড়বে মদ জাতীয় পণ্যের। মদ আমদানিতে অগ্রিম কর ২০-২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দেশীয় পণ্য সুরক্ষায় শুল্ক আরোপে আরেক দফায় বৃদ্ধি পেতে পারে আমদানি করা স্মার্ট মোবাইল ফোনের দাম। সেক্ষেত্রে দেশীয় কোম্পানিগুলো সুবিধা পাচ্ছে। শুল্ক বৃদ্ধির করণে আমদানি করা ফ্রিজ এবং এসির দাম আরেক দফা বাড়বে। এছাড়া দাম বাড়তে পারে আমদানিকরা সব ধরনের বিলাসবহুল হোম অ্যাপ্লায়েন্সের।
এদিকে ৫% ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে ভ্যাট, খুচরা বাজারে মোবাইল ফোনের ওপর। এতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটের দাম বেড়ে যাবে। দাম বাড়ার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে বিলাসবহুল গাড়ি। ৪০০০ সিসি ওপরে বিলাসবহুল রিকন্ডিশন গাড়িতে সম্পূরক শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক এবং আগাম কর ও ভ্যাট মিলিয়ে কর প্রায় সাড়ে ৮০০ শতাংশে করভার রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই করভার এক হাজার শতাংশ বা তার বেশি হতে পারে। এছাড়া প্রথম শ্রেণির রেলওয়ে সেবার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এতে বাড়বে টিকিটের দাম।
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে আরও কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- পনির, দই, তামাকজাত পণ্য, এসি, মোবাইল, পেপার কাপলেট, জিআই ফিটিং, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, গাড়ির সিলিন্ডার, লাইটার, কম্পিউটার প্রিন্টারের টোনার, ট্রেনের প্রথম শ্রেণির ভাড়া, মেডিটেশন সেবার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আমদানিকৃত ইলেকট্রনিক ক্যাবল, সব ধরনের পাইপ, আমদানিকৃত মোটরসাইকেল, সব ধরনের রাবার জাতীয় পণ্য, আমদানিকৃত সোলার প্যানেল, অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল, আমদানিকৃত চেয়ার, প্রিন্টিং কালি, আমদানিকৃত বিলাসবহুল পাখি, কিট-মাস্কসহ সব ধরনের কোভিড-১৯ সরঞ্জাম ইত্যাদি।
আনন্দবাজার/টি এস পি




