মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬১ ঘণ্টা পর ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে: সেনাবাহিনী

৬১ ঘণ্টা পর ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন পুরোপুরি না নিভলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। টানা ৬১ ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এই আগুন নেভাতে নিরলসভাবে কাজ করেছিল ফায়ার সার্ভিস এবং সেনাবাহিনী সদস্যরা। তারা বলছে, এই ডিপো থেকে আর কোনো বড় ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা নেই। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১৮ ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত রোববার সকাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের প্রায় দুই শতাধিক সদস্য বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে কাজ করছে। ডিপোতে এসে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এখন যে আগুনটা আছে তা প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের কিছুটা সময় বেশি লেগেছে। কারণ, এলাকাটা অনেক বড়। প্রায় ২৬ একর জায়গায় ডিপোটি। এখানে কনটেইনারের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। কনটেইনারগুলো একটির পর আরেকটি লাগানো ছিল। কনটেইনারগুলো নিচে নামিয়ে কাজ করতে সময় লাগে।

সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, জ্বলন্ত কনটেইনারের পাশে কিছু ভালো কনটেইনার ছিল। সেগুলো আমরা পৃথক করে রেখেছি। যাতে আগুনটা আর না বাড়ে এবং ক্ষয়ক্ষতি না হয়। আগুন প্রায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এখান থেকে আর কোনোভাবে আগুন ছড়ানোর সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে বলে উল্লেখ করেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম হিমেল। গত শনিবার (৪ জুন) রাত সোয়া নয়টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যসহ নিহত হয়েছেন ৪১ জন। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্য, ডিপোর কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকসহ আহত হয়েছেন অন্তত দুই শতাধিক মানুষ।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  প্রেমের ফাঁদে বাইক-মোবাইল ছিনতাই

সংবাদটি শেয়ার করুন