ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘাটতি পূরণে ধান-চাল আমদানি

পরামর্শ নওগাঁর ব্যবসায়ীদের

বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত সঠিক বলে জানিয়েছেন নওগাঁ জেলা ধান-চাল ব্যবসায়ী ও মিলাররা। তবে ঘাটতি পূরণে অতিরিক্ত আমদান যেন না করা হয় সেদিকে নজর রেখে সঠিক আমদানীর পরামর্শও দিয়েছেন তারা। গতকাল সোমবার দুপুরে নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডিাস্ট্রি আয়োজিত একমত বিনিময় সভায় বক্তারা এই পরামর্শ তুলে ধরেন।

চালের বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে নওগাঁ চেম্বার। সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চালকল মালিক আলহাজ্ব বেলাল হোসেন, নওগাঁ জেলা ধান্য চাউল আরতদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরন সাহা চন্দন, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি তৌফিকুল ইসলাম বাবু, সহ অন্যান্য চালকল মালিক, আরতদার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে চলতি মৌসমে বোরো ফলনে ঘাটতি হয়েছে। ফলে দেশে ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টন চাল আমদানীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত আমদানি না হয়। অতিরিক্ত আমদানি করা হলে পরবর্তী মৌসুমে চাষিরা বড় লোকসানে পড়বেন। তাই ঘাটতি পূরণে সঠিক আমদানি করতে হবে।

এসময় ধান চাল ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, চলতি মৌসুমে চালের বাজার দরের অস্থিরতার জন্য করপোরেট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে সরকার। অথচ মজুত যাচাইয়ের নামে প্রশাসন সাধারণ মিলারদের হয়রানি করছে। অথচ উৎপাদনের প্রায় ৭০ ভাগ ধান মজুত করেছে পুঁজিপতি, মজুতদার ও করপোরেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।

সভায় বক্তারা আরোও বলেন, বিদ্যুতের দাম ১১ শতাংশ বাড়ানো হলে প্রতিমণ চালে ২৪ টাকা বাড়বে উৎপাদন খরচ। তাই এই খাতে মূল্য না বাড়ানোর দাবি তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন