ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএবি) না মানার ঘোষণা দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর আহ্বানে এবার সাড়া দিয়েছে দেশটির আরও ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিতর্কিত এই আইনের বিপক্ষে গণআন্দোলনের ডাক দেন। এরপর একে একে আরও ৫ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই আইন না মানার হুমকি দেন ।
পশ্চিমবঙ্গের পর এবার দিল্লি, পাঞ্জাব, ছত্তিশগড়, কেরালা ও মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীরা বিজেপি সরকারের বিতর্কিত এই নাগরিকত্ব প্রদান সংক্রান্ত আইন কোনোভাবে তাদের রাজ্যে প্রয়োগ করতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন। এমনকি মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সরকারের শরিক কংগ্রেসের এক মন্ত্রীও আইনটি রাজ্যে প্রয়োগ করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে মমতা বলেন, ‘বাংলায় কোনো অবস্থায় সিএবি এবং এনআরসি চালু করতে দেব না। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে রাষ্ট্রপতি সই করার পর তা আইনে পরিণত হয়েছে ঠিক। কিন্তু সেই আইন রাজ্য সরকার কার্যকর করবে না। এখানে কোনো ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেব না। আমরা চাই সব জাতি, সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে থাকুক।
মমতার মতো বাকি রাজ্যগুলোরও অন্য রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীরাও একই সূরে কথা বলেছেন। দিল্লিতে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পাঞ্জাবে রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও একই নাগরকিত্ব আইন তাদের রাজ্যে প্রয়োগ হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।
আনন্দবাজার/এম.কে