ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরাজগঞ্জে আপেল চাষের সম্ভাবনা

সিরাজগঞ্জে আপেল চাষের সম্ভাবনা

আপেল চাষে সফল সিরাজগঞ্জের উদ্যোক্তা মো. বোরহান। ২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জে প্রথম আপেল চাষ শুরু করেন তিনি। সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বরহর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত খাসচর গ্রামের বেসরকারি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. বোরহান ১ একর জমিতে চাষ করেছেন। বিভিন্ন জাতের এইচবি এ্যাপল অর্চেড বাগানে এখন এইচআরএমএন-৯৯, আন্না, ডর্চেট গোল্ডেন, টপিক সুইট, গ্রানেস স্মিথ, মাইকেল, আমেরিকান মরিসাস, ইন-সামার, সামার গ্রিন, সামার র‌্যাম্বো, রেড লাভ, সাউথ আফ্রিকার আফ্রিকান রেড এইচবি ১০ প্রাজাতির আপেল চাষ শুরু আপেল চাষ হচ্ছে। বাগানে প্রায় ৫শ’টির উপরে আপেল গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছের ডোগায় ডোগায় ফুল ও ফল ধরা শুরু হয়েছে। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের আপেল সুমিষ্টি ও সুস্বাদু।

উদ্যোক্তা মো. বোরহান বলেন, প্রথমে ইন্ডিয়া গিয়ে আপেল চাষ এর সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিই। পরে তারা আমাকে আপেল চারা দেয়। ২০১৮ সালের শুরুতেই ২ শতক জমিতে আপেল চাষ শুরু করি। সেটা নিয়ে দেশে এসে কাজ শুরু করি। যখন দেখলাম যে এটা আমাদের দেশে ফলানো সম্ভব, তখন ২০২০ সালে আবার নতুন করে চারা নিয়ে এসে এ বাগান শুরু করি। ২০২১ সালে বাগান ২ একর বড় করে নতুন করে কিছু চারা রোপণ করি। এভাবেই বাগানটা তৈরি হয়ে যায়। এখন আমার বাগানে ৫শ’ গাছ আছে। যদি ভালোভাবে ম্যানেজমেন্ট করি ও সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে সুন্দরভাবে বাগান করি, অবশ্যই আমরা বাংলাদেশে সফল হব, বাণিজ্যিকভাবে আমরা ভালো কিছু করতে পারবো।

উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, আমরা তার বাগান একাধিকবার পরিদর্শন করেছি। যেহেতু এটা ঠান্ডা আবহাওয়ার ফল, তাই আমাদের দেশে এটা কতটুকু সফলভাবে চাষ হবে, এটা এখনো পরিষ্কার নয়। তার বাগানে যেহেতু ফল আসা শুরু হয়েছে, তাই সামনে আমরা এ সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারব। এ ছাড়া তাকে এগিয়ে নিতে আমরা করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে তাকে একটি ফান্ড দিয়েছিলাম। তিনি যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সাহায্য নিতে পারেন, আমরা এর জন্য প্রস্তুত আছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন