ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদেই বেশি রেমিট্যান্স

ঈদেই বেশি রেমিট্যান্স
  • ২১ দিনে ১২ হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে রেমিট্যান্স। প্রবাসী আয়ের এ অর্থ দেশের আর্থসামাজিক বিকাশে অন্যতম অণুঘটক হিসেবে কাজ করছে। গত পাঁচ দশকে দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা অনেক বেশি। প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স সামষ্টিক অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করছে। মহামারী পরিস্থিতি অর্থনীতি যে ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে তা মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে রেমিট্যান্স। প্রতিটি উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠায় কয়েকগুন বেশি। তারই ধারাবাহিকতায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রেকর্ড রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

ঈদে নিজ পরিবারের বাড়তি খরচের চাহিদা মেটাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা রেকর্ড পরিমান রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। গত ২১ দিনে ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি পাঠিয়েছেন তারা। ঈদের আগ মুহূর্তে মাসের বাকি দিনগুলোতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাস এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১২ হাজার ১২৮ কোটি টাকার বেশি। চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ২০০ কোটি ডলার বা ১৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে সবসময় প্রবাসীরা দেশে পরিবারের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠিয়ে থাকেন। সে ধারাবাহিকতায় আসন্ন রোজার ঈদকে সামনে রেখে তারা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রেমিট্যান্স পাঠানোর এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিলে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, আলোচিত সময়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৪৫ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১১ কোটি মার্কিন ডলার, বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩১ কোটি ৮ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এরপরে রয়েছে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ১৯ কোটি ১ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংকে ৯ কোটি ৫২ লাখ, সোনালী ব্যাংকে ৮ কোটি ১৩ লাখ ডলার এবং ব্যাংক এশিয়ায় ৭ কোটি ১১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে।

এর আগে মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৮৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। যা আগের মাস ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২৪ শতাংশ বা ৩৬ কোটি ৫৫ লাখ ডলার বেশি ছিল। ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪৯ কোটি ডলার।

সংবাদটি শেয়ার করুন