ঢাকা | বুধবার
১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
২৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁধ ভেঙে ছায়ার হাওরে পানি

বাঁধ ভেঙে ছায়ার হাওরে পানি

সুনামগঞ্জে একের পর এক বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। গত দুই সপ্তাহ যাবত জেলার কয়েকটি উপজেলার ২০ টি হাওরের বাঁধ ভেঙ্গে ফসল তলিয়ে যায়। সর্বশেষ শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের ৮১ নং পিআইসির মাউতির বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে। কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৪ হাজার ৬০০ হেক্টর বোরে ফসল রয়েছে এই হাওরে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় ইতিমধ্যে হাওরের ৯৫ ভাগ ধান কাটা হয়েছে।

তবে এ পরিসংখ্যানে দ্বিমত পোষণ করছেন স্থানীয় কৃষকরা। তারা জানান, হাওরে এখনে অর্ধেক ধান কাটা বাকি রয়েছে। অনেকে ধান কেটে হাওরে রেখে দিয়েছিলেন সেই ধানও আনতে পারেন নি। রবিবার ভোরে হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় তিন জেলার হাজারো কৃষকের সোনার ফসল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। বছরের একমাত্র বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় বুপাকে পড়েছেন হাওরের কৃষকরা। তারা জানান, হাওরে মাত্র ধান কাটার ধুম পড়েছে। আরো ১ সপ্তাহ সময়ে পেলে হাওরের শতভাগ ধোনা ঘরে তোলা সম্ভব হতো। হঠাৎ করে বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করায় পরিস্থিতি বুঝে উঠতে পারে নি কৃষকরা। অনেক কৃষক ধান কেটে মাড়াই করে রেখেছিলেন সব ধান একসঙ্গে ঘরে তোলার জন্য সেই ধানও আনার সুযোগ হয়নি। বাঁধে প্রশাসনের তদারকি ছিলো না। তদারকি থাকলে এ বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হতো।

বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু বললেন, প্রশাসনের তদারকির অভাবে বাঁধ ভেঙ্গে কৃষকের সোনার ফসল তলিয়ে গেছে। এখনো হাওরে অর্ধেক ধান রয়েগেছে। প্রশাসন চাইলে আগাম ব্যবস্থা নিয়ে বাঁধটি রক্ষা করতে পারতো।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ছায়ার হাওরের ৯৫ ভাগ জমির ধান কর্তন করা হয়ে গেছে। আরো একদুই দিন সময়ে পেলে শতভাগ ধান কাটা হয়ে যেতো।

সংবাদটি শেয়ার করুন