ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্বতীপুরে আরেক ‘চকবাজার’

পার্বতীপুরে আরেক ‘চকবাজার’
  • মুখরোচক বাহারি ইফতারের সমাহার

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মনোরম পরিবেশে রুচিশীল উন্নতমানের আধুনিক শাহ হোটেলেই মিলছে ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক ইফতার। সাজানো হয় বাহারি ইফতারের পসরা। বাহারি বিভিন্ন দামের ইফতার সামগ্রী কিনতে শহর ও গ্রাম থেকে মানুষ আসছেন হোটেলটিতে। হোটেলটি সুস্বাদু ও মুখরোচক এবং ভিন্নতা দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও সক্ষম হয়েছে। নানা স্বাদের এসব ইফতার আয়োজনে ক্রেতাদের উপ¯ি’তিও চোখে পড়ার মত এক অন্যরকম আমেজে প্রতিবছর এ হোটেলটির।

রমজানের প্রথম দিন থেকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হওয়ার আগেই পার্বতীপুর শহীদ মিনার সড়কে রুচিশীল ও আধুনিক শাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে নানা স্বাদের মুখরোচক খাবারের ঘ্রাণে মনোযোগ আকৃষ্ট করে পথচারীদের। হোটেলে ইফতার সময় বসে যেন রোজাদারদের মিলনমেলা। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এ অভিজাত হোটেলটি আয়োজন করেছে ইফতারের বাহারি পদ। ক্রেতাদের সামলাতে বিক্রয়কর্মীরা হিমশিম খাচ্ছেন।

পার্বতীপুর খোলাহাটি ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আবু বক্ক সিদ্দিক জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ হেটেলের ইফতার আমার পরিবারের পছন্দের তালিকায়। শাহ হোটেলের ইফতার আয়োজন পার্বতীপুরে ঐতিহ্যের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই হোটেলটিও ক্রেতার কথা মাথায় রেখেই তৈরি করছে লোভনীয় মনোহরি ইফতার। ক্রেতারাও বলছেন, শহরের অন্যান্য হোটেলের চেয়ে শাহ হোটেলের ইফতার খাবারের জন্য সেরা মানের।

হোটেলটিতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড়। কেউ নিচ্ছেন ছোলা, পিঁয়াজু, খেজুর আবার কেউ নিচ্ছেন আস্ত মুরগির রোস্ট, ফ্রাই আবার কেউ নিচ্ছেন কাবাব।

ক্রেতাদের অনেকেই নিতে ভুল করছেন না শাহ হোটেলের ঘোল। রমজানে এ হোটেলের ঘোলের রয়েছে বাড়তি কদর।
শাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে স্বতাধিকারী শাহ মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, প্রতিবছর আমরা ইফতারির আয়োজন করে থাকি। নতুনত্ব কিছু করে মানুষকে খাওয়াতে পারলে আনন্দ পাই। খাবারে গুণগত মান বজায় রাখার কারণে প্রতি রমজানেই হোটেলে ক্রেতারা ভিড় জমান। কেননা, বাজারের সবচেয়ে সেরা জিনিসটি হোটেলের জন্য কিনে নিয়ে আসা হয়।

এবারের ইফতার আয়োজনের মধ্যে রয়েছে ঘোল। যা প্রতি ১০০ টাকা। এছাড়া আয়োজেনে থাকা পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, ডিম চপ, গ্রিল, দেশি টিক্কা, খাসির কিমা, তেহারি, পোলাও, দই, বুন্দিয়া, নিমকি, সন্দেশ, চানাবুট, টিকা কাবাব, জালি কাবাব, বিফ ঝালটোষ্ট, বিফ সাচলিক, বিফ রোল, চিকেন সাচলিক, পাটিসাপটা, সবজি রোল, চিকেন রোল, শাহী জিলাপি, ডিম রোল, কা”িচ বিরিয়ানী, চিকেন বিরিয়ানী, বিফ খিচুড়ি, গ্রিল কাবাব ও বোরহানি। এছাড়াও রয়েছে নতুন সংযোজন ‘শাহ হোটেল’ মিষ্টির শো-রুম।

মিষ্টি পিপাষুদের জন্য রয়েছে ৩০ আইটেম মিস্টি আম বিলাস, হাড়ী ভঙ্গা, মৌচাক সুইটস, কমলা ভোগ, ক্রিম জাম, সাইট টোষ্ট, পন্স চমচম, বেবি সুইট, সাগর ভোগ, ক্ষীর ভোগ, রোল ক্রিম, ক্ষিরতোয়া, কেক সুইট, কাকলেট, রোল সন্দেস, মতি বরফি, চকলেট চমচম ও বাটা টোষ্ট। এছাড়াও রয়েছে আরও নানা আয়োজন।

হলদীবাড়ী এলাকার বাসিন্দা মোবারক হোসন বলেন, এখানের রমজানের বাহারি আয়োজন আমাকেও মুগ্ধ করে। আমি এ হোটেলের নিয়মিত ক্রেতা। একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও এখানকার ইফতার সে কারণেই বাড়ীতে কিনে নিয়ে যাই।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন