২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বন্ড সুবিধার অপব্যবহার শনাক্তে ২২৩টি অভিযান চালিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব অভিযানে আমদানিকৃত পণ্যের ৮৫টি কাভার্ড ভ্যান আটক করা হয়। সুবিধার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকার ২৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ৩২৬টি বন্ড লাইসেন্স, সিলগালা হয়েছে আটটি গুদাম।
দেশের বস্ত্র-পোশাকসহ বেশকিছু রফতানিমুখী খাতের শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা রফতানির উদ্দেশে আমদানিকৃত পণ্যে বিশেষ শুল্ক সুবিধা পায়। এ শুল্ক সুবিধায় আনা পণ্য বন্ড বা বন্ডেড ওয়্যারহাউজ নামে পরিচিতি। যা রফতানি না করে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রি করে সংঘটিত হয় শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার।
এ অপব্যবহার রোধে এনবিআরের পক্ষ থেকে চলতি বছরই বিশেষ তত্পরতা শুরু হয়েছে। যা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বস্ত্র শিল্পের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
দেশের অর্থনীতিতে বস্ত্র খাতের অবদান উল্লেখ করে বিটিএমএ প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে, এ খাতটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্পর্শকাতর খাতটিকে সব ধরনের অনৈতিক পন্থার মাধ্যমে বাজারজাতকৃত টেক্সটাইল সামগ্রীর অনুপ্রবেশ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে চলমান শুদ্ধি অভিযানের পাশাপাশি এনবিআরের উদ্যোগে কাস্টমস হাউজ, শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর ও বন্ড কমিশনারেটের ঘন ঘন তল্লাশি অভিযান পরিচালিত হওয়ায় অবৈধভাবে বাজারজাত সুতা ও কাপড় আটক হচ্ছে। ফলে এ ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে।
আনন্দবাজার/ইউএসএস