ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক চিনির চাহিদা ১.৩ শতাংশ হ্রাসের সম্ভাবনা

বিশ্বে শীর্ষ চিনি ভোক্তা দেশ হিসেবে পরিচিত ভারত। সম্প্রতি দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে মিষ্টি পণ্যটির চাহিদা স্থবির হতে আরম্ভ করেছে। এর আগে চলতি মৌসুমে ভারতের চিনি উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যাওয়ার প্রাক্কলনও করছিলো ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা)।

এদিকে মির কমোডিটিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন এগ্রি-রিসোর্স লিমিটেডের তথ্য বলছে, অর্থনৈতিক শ্লথ প্রবৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যসচেতনতা বৈশ্বিক খাদ্যভ্যাসে পরিবর্তন আনছে। এতে চলতি মৌসুমে ভারতসহ বিশ্বজুড়ে চিনি ব্যবহারের মাত্রা বেশ কমে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

মুম্বাইভিত্তিক ব্যবসায়ী ও মির কমোডিটিস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহিল শাইখ বলেন, ২০১৯-২০ মৌসুমে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চিনির চাহিদা ২ কোটি ৫০ লাখ থেকে ২ কোটি ৫২ লাখ টন পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় কিছুটা কম।

প্রতিষ্ঠানটি তথ্যানুযায়ী, আগামী বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নামতে পারে বলে খাতসংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা পূর্বাভাস করছেন। অর্থনৈতিক মন্থর গতি দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির চাহিদায় হুমকি তৈরি করছে। এ মুহূর্তে ভারতের ব্যবসায়ীরা অভ্যন্তরীণ ভোগ অপেক্ষা পণ্যটির রফতানি সরবরাহ বাড়াতেই বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

গোল্ডেন এগ্রি-রিসোর্সের ব্যবসায়ী কলম ওয়াবার বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধির জেরে মানুষ চিনি খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছে। এর পরিবর্তে খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প খুঁজতে উৎসাহিত করছে। অথচ চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার ধরে রাখতে তেমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। এছাড়া বিভিন্ন দেশের সরকার চিনিযুক্ত কোমলপানীয়র ওপর বাড়তি করারোপ করছে। সব মিলিয়ে কৃষিপণ্যটির বৈশ্বিক ব্যবহার হুমকির মুখে পড়েছে।

ইন্টারন্যাশনাল সুগার অর্গানাইজেশন প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি মৌসুমে বৈশ্বিক চিনির ব্যবহার ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমবে, যা পাঁচ বছরের গড় ব্যবহারের তুলনায় সামান্য কম। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে বিশ্বের প্রধান চিনি বাজারগুলোয় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আগের তুলনায় বাণিজ্য যেমন সংকুচিত হয়ে পড়ছে, তেমনি ব্যবহার প্রবৃদ্ধিতেও নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন