থানকুনি এমন একটি উদ্ভিদ যার রয়েছে একাধিক ভেষজ গুণ। মূলত এই গাছের পাতা নানান রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই পাতা একাধারে পেট, দাঁত, মাথা এবং চামড়ার বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে থাকে।
পেটের রোগে থানকুনি পাতা অনেক বেশি উপকারি। নিয়মিত এই পাতা সেবনে বিভিন্ন পেটের রোগ থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। থানকুনি পাতার রস আলসার, এগজিমা, হাঁপানিসহ বিভিন্ন চর্মরোগ সারাতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখে। এছাড়া মৃত কোষ সক্রিয় করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও জুরি নেই এই পাতার।
থানকুনির রস মস্তিষ্কের কোষ গঠনে এবং রক্ত চলাচল বাড়াতে সহায়তা করে। এর নিয়মিত সেবন স্মৃতিশক্তি তুলনামূলক ভাবে বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ুতন্ত্র সক্রিয় করে। থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে সেই পানি কয়েক দিন ক্ষত স্থানে ব্যবহার করলে পুরনো ক্ষত সেরে যায়। এছাড়া যেকোন ক্ষতে প্রাথমিক ভাবে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
যৌবন ধরে রাখার গোপন একটি রহস্য থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে চেহারায় লাবণ্য চলে আসে।
দাঁতের বিভিন্ন রোগের জন্য থানকুনি বেশ ভালো। মাড়ি থেকে রক্ত পড়ায় অথবা দাঁতের ব্যথায় থানকুনি পাতার সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলকুচি করলে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায়। থানকুনি পাতার রস চুলের জন্যও অনেক উপকারী। এই পাতার রস মাখলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস