ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলা চাষে ভাগ্যবদল

কলা চাষে ভাগ্যবদল

দিনাজপুরের বিরামপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কলার আবাদ। গত মৌসুমের চেয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলায় বেড়েছে কলার চাষ। যা গত বছর ছিলো ১২ হেক্টর, চলতি মৌসুমে তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। অল্প খরচে ভালো ফলন আবার দামও বেশি। তাই কলা চাষে মনোযোগী হচ্ছেন অনেকেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিঘার পর বিঘা জমি এবং বাড়ির আশপাশ, ডোবা, নালার পাশে বিভিন্ন জাতের সবরি কলা, চিনি চাম্পা কলা, বিচি কলা ও সাগর কলার গাছ লাগানো রয়েছে। গত জুনের শুরুতেই কলা চাষিরা জমিতে গোবর, ইউরিয়া, পটাশ, ফসফেট সার মিশিয়ে জমি তৈরি করছেন। তাতে তিন হাত ফাঁকা করে কলার চারা লাগিয়েছেন। ৮ থেকে ৯ মাসের মধ্যে প্রতিটি গাছে কলার মোচা এসেছে। বর্তমানে প্রায় গাছের কলা বাজারজাত করার উপযোগী হয়ে উঠেছে।

এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে খরচ হয় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। বিঘাতে প্রায় ৩৬০ থেকে ৩৮০ টি গাছ লাগানো যায় এবং প্রতিটি গাছে কলার ছড়া ধরে। কলাচাষি বড় ছড়া বিক্রি করছেন বর্তমান সাড়ে ৪০০ টাকা। মাজারি ছড়া সাড়ে ৩০০ টাকা এবং ছোট ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে একজন বাগান মালিক কলা বিক্রি করছেন প্রায় ২ লাখ টাকা। প্রথম চালান কলা কাটার পর গাছটি কেটে ফেলেন। সেই কাটা গাছের গোড়া থেকে আবারও কুশি বের হয়ে থাকে। সেই কুশি থেকে আবার দ্বিতীয় চালান কলা ধরে। এভাবে একজন কলাচাষি বাগান থেকে দু’বার কলা বাজারজাত করেন। তবে দ্বিতীয়বারে কলার আকার অনেকটা ছোট আকৃতির হয়।

বিরামপুর উপজেলার চক হরিদাসপুর গ্রামের কলা চাষি মনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছি। ফলন অনেক ভালো। দামও ভালো।

হাবিবপুর গ্রামের কলাচাষি তফিজ উদ্দিন বলেন, এক বিঘা জমিতে কলার বাগান করেছি। এটা আমার নতুন বাগান। প্রতিটি গাছে কলা ভালো হয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে কলা কাটতে শুরু করেছি। বড় ছড়াগুলো সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি করছি এবং মাঝারি ছড়াগুলো ৪০০ এবং ছোট ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, কলার দাম ভালো পাওয়ায় গতবারের চেয়ে এবার কলার বাগান বৃদ্ধি পেয়েছে। গতবার ১২ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছিল। এবার কৃষকরা ১৬ হেক্টর জমিতে কলার বাগান করেছে। চলতি কলার মৌসুমে কলাতে তেমন কোনো রোগ বালাই নেই। আমিসহ কৃষি কর্মচারীরা প্রতিটি কলার বাগান পরিদর্শন করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন