ঢাকা | রবিবার
২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিপকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ শনাক্ত

টিপকাণ্ডে অভিযুক্ত পুলিশ শনাক্ত
  • ছিলেন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায়

টিপ পরা নিয়ে এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবলকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম নাজমুল তারেক। পুলিশ লাইন থেকে সংযুক্ত হয়ে তিনি ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করতেন। গতকাল সোমবার সকালে শেরেবাংলা নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উৎপল বড়ুয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি বলেন, টিপ পরায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে নাজমুল তারেক নামের পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। সেসময় মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট বিশ্লেষণ করে নাজমুল তারেককে শনাক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলতে পারবেন।

গেল ২ এপ্রিল শেরেবাংলা নগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। থানায় দেওয়া অভিযোগে লতা সমাদ্দার লিখেছেন, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রিকশায় ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমার সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে তেজগাঁও কলেজে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।

তখন সেজান পয়েন্টের সামনে থেমে থাকা একটি মোটরসাইকেলের ওপর পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি বসে ছিলেন। ওই মোটরসাইকেলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই ব্যক্তি লতার কপালে টিপ পরা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি। পেছনে ফিরে ঘটনার প্রতিবাদ করায় ফের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় লতাকে। তাকে উদ্দেশ্য করে ‘টিপ পরছোস কেন’ মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি।

লতার অভিযোগ, তিনি প্রতিবাদ করায় পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। সরে গিয়ে রক্ষা পেলেও আহত হন তিনি। পরে পাশেই দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে তিনি বিস্তারিত জানান।

এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের জন্ম দেয়। হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে নারী কর্মী সংগঠন নারীপক্ষ।

অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাও রবিবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট-অব অর্ডারে বক্তব্য দেওয়ার সময় এই হয়রানির নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ইভটিজিংয়ের ঘটনা আমরা শুনে এসেছি। বখাটে ছেলেপেলে স্কুলের বাচ্চা মেয়েদের ইভটিজিং করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইন রক্ষাকারী বাহিনীর কাউকে ইভটিজারের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

সংবাদটি শেয়ার করুন